শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?
  •   শ্রীনগর কাঁপছে

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৪

ভারতে সেনসেশন: বাংলাদেশি পরিবার নিধান, হত্যাকারী আত্মহত্যার হুমকি

উচ্ছেদ ও হুমকির জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড

ভারতের লখনৌতে তীব্র চাঞ্চল্য

মো. জাকির হোসেন
উচ্ছেদ ও হুমকির জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের লখনৌতে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশি বলে উচ্ছেদের শিকার হওয়া এক পরিবারের মা ও চার কন্যাকে হত্যা করেছে আরশাদ নামে এক যুবক। নিজেই একটি ভিডিও বার্তায় এই ঘটনার কথা স্বীকার করে আরশাদ দাবি করেছে, প্রতিবেশী ও মাফিয়া তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে এবং তার বোনদের বিক্রি করার হুমকি দিয়েছে। এই ভয়েই তিনি এমন নৃশংস কাজ করেছেন।

বিস্তারিত সংবাদ:

ভারতের লখনৌর একটি হোটেলে মা ও চার বোনকে হত্যা করেছে আরশাদ নামের এক যুবক। ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের পর নিজেই একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তিনি। আরশাদ দাবি করেছেন, তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে বাংলাদেশি বলে উচ্ছেদ করেছে তাদের প্রতিবেশী ও মাফিয়ারা। তার শঙ্কা ছিল, তাকে ও তার বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে জেলে নিয়ে তার বোনদের বিক্রি করে দিতে পারে মাফিয়ারা। এমন শঙ্কা ও ক্ষোভ থেকে তিনি মা ও বোনদের হত্যা করেছেন।

ভিডিওতে আরশাদ বলেন, “প্রতিবেশীদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমাদের পরিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আমার মা ও বোনদের হত্যা করেছি। যখন পুলিশ এ ভিডিও পাবে। তারা যেন জানে, এ ঘটনার জন্য প্রতিবেশীরা দায়ী।”

আরশাদ আরও বলেন, “রনু, আফতাব, আলিম খান, সেলিম, আরিফ, আহমেদ ও আজহার— তারা সবাই ভূমিদস্যু, তারা মেয়েদের বিক্রিও করে দেয়। তারা আমার এবং বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার বোনদের বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।”

আরশাদ ভিডিওতে তার মা ও বোনদের মরদেহ দেখিয়ে আরও বলেন, “আমি হয়ত সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকব না। আমরা বুদাউনের বাসিন্দা। আমরা আন্টির কাছে প্রমাণ আছে। আমরা এখানে ১৯৪৭ সাল থেকে আছি। কিন্তু তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়ায়, আমরা নাকি বাংলাদেশি।”

এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে বিচার চান আরশাদ। তিনি বলেন, “আমরা অনেকের কাছে গেছি, কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি। আমার বোনরা এখন মরে যাচ্ছে। আমিও একটু পর মরে যাব। কিন্তু ভারতের কোনো পরিবার যেন এমনটি করতে বাধ্য না হয়।”

আরশাদ বলেন, তাদের বাড়িটিতে যেন এখন একটি মন্দির তৈরি করা হয় এবং বাড়ির জিনিসপত্রগুলো কোনো এতিমখানায় দিয়ে দেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডে তার সঙ্গে তার বাবাও ছিল বলে দাবি করেছে আরশাদ। এদিকে মা-বোনদের হত্যার পর আরশাদ আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিলেও তাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়