শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২২, ০০:০০

কচুয়ায় আল্লাহর গুণবাচক নাম সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন মিনার উদ্বোধন
মিজানুর রহমান ॥

কচুয়ায় মহান আল্লাহতায়ালার গুণবাচক ৯৯ নাম খচিত দৃষ্টিনন্দন মিনার উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি কচুয়া উপজেলা কড়াইয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিমুরিয়া গ্রামের বাইতুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থাপিত। যার প্রশংসা রয়েছে এলাকাবাসী, পথচারী ও দর্শনার্থীদের মুখে মুখে। বাবার স্বপ্নপূরণ করতে এমন মহৎ কাজে সিংহভাগ অর্থ খরচ করেছেন ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল হান্নান মিয়াজী।

তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলায় এটাই সর্বপ্রথম আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ। মানুষ আল্লাহ ভীরু যাতে হয় সেজন্যই আমার বাবার ইচ্ছাপূরণে স্তম্ভটি নির্মাণ করেছি। লোকজন রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ার সময় মহান আল্লাহর নামগুলো পড়বে। এতে তাদের সওয়াব হবে এবং আমারও সওয়াব হবে। দেড় বছর সময় নিয়ে ৪০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন এই মিনারের কাজ সমাপ্ত করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

১২ জুলাই মঙ্গলবার সরজমিনে ডুমুরিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহান আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম আরবিতে নিচে থেকে উপরে পর্যন্ত স্তম্ভটির চারপাশে লেখা হয়েছে। নিচে রয়েছে বর্গাকার বেদী। আলোকসজ্জাসহ কারুকার্য সম্পন্ন হওয়ায় স্থানীয়রা প্রশংসা করছেন।

এ বিষয়ে বাইতুল আমান জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা ২০০০ সাল থেকে এই মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করি। তখন এটি টিনসেড ঘর ছিলো। তবে এখন বিল্ডিং হয়েছে। বিল্ডিং হওয়ার পরে ভেবেছিলাম স্মরণীয় করে রাখা জন্যে কী করা যায়। তখন চিন্তা-ভাবনা করে আমরা আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ তৈরি করার উদ্যোগ নিই। এই স্তম্ভটি করতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। আমাদের এ কাজে এলাকার অনেকেই সহযোগিতা করেছেন এবং পরামর্শ দিয়ে পাশে থেকেছেন। তাই সবার কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, আল্লাহপাক বলেছেন, আল্লাহ পাকের ৯৯ নামের যে একটা অক্ষর হলেও পড়বে। সে ১০টা নেকি পাবে। এতে মানুষ দুনিয়া ও পরকালে লাভবান হবে।

বাইতুল আমান জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি মোঃ দিনুল ইসলাম বলেন, আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভটি হওয়াতে আমরা খুশি। শুধু আমি না পুরো এলাকাবাসী খুশি।

কচুয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ নাজমুল আলম স্বপন বলেন, মহান আল্লাহর ৯৯টি নামের স্তম্ভটি কচুয়ার জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। কেননা এটা সবার পক্ষে করা সম্ভব না। তাই এই স্তম্ভের উদ্যোক্তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। এটি হওয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত।

কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, আমাদের কচুয়ার ৯নং ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে মহান আল্লাহর ৯৯ নাম দিয়ে কারুকার্যময় মিনার করা হয়েছে। এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়