প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২২, ০০:০০
সৈয়দ আহমেদ নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে দীর্ঘ বছর প্রবাসে থেকেও হেরে গেলেন ভাগ্যের কাছে। অবশেষে প্রবাসেই জীবনের চাকা থমকে গেলো সৈয়দ আহমেদের। লাশ হয়ে ফিরলেন দেশে।
জীবিকার তাগিদে নব্বই দশকে পবিত্র ভূমি সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হালিম গাজীর ছেলে মোঃ সৈয়দ আহমেদ (৩০)। বিদেশে গিয়ে নিজের অভাবী পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সহোদরদের স্বাবলম্বী করার স্বপ্ন জাগে সৈয়দ আহমদের দু’চোখে। নিজের মেধা আর সাহসকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রবাসে নিয়ে তাদের ভাগ্যের বদল করতে পারলেও বদল হয়নি সৈয়দ আহমদের ভাগ্যের।
দেশে স্ত্রী ও ২ ছেলে ১ মেয়ে রেখে সৈয়দ আহমেদ দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটানোর পর ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাস শুরু করেন। নিজের ছেলেমেয়েদের কথা বিবেচনা করে দেশেও আসেননি তিনি। কয়েক মাস পূর্বে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যান সৈয়দ আহমেদ। আর্থিক অভাব অনটনের কারণে নিতে পারেন নি সুচিকিৎসা, আসতে পারেন নি নিজের জন্মভূমিতেও। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার ৬১ বছর বয়সী সৈয়দ আহমেদ চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে (ইন্নালিল্লাহে.....রাজেউন)।
অবশেষে সৌদি আরব দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার সাঈদ সিদ্দিকী ও মরহুমের নিজ গ্রামের সমাজসেবক সাবেক কমিশনার নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় ১১ মার্চ শুক্রবার এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা সৈয়দ আহমেদের মরদেহ দেশে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সৈয়দ আহমেদের মরদেহ গ্রামে আসার সাথে সাথে পুরো বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়।