প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে চরম নৈরাজ্য ॥ ভোগান্তিতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ
কালীবাড়ি, বাসস্ট্যান্ড ভাড়া ৫০ থেকে ২শ’ টাকা
প্রত্যেক ঈদের সময় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীরা নানা হয়রানির শিকার হয়। যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের কাছে। চালকরা তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া চাইবে এবং কাছের কোনো যাত্রী নিবে না। অটোরিকশার ভাড়া ১০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা, ২০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা। আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার কথা বললে তো আর কোনো কথাই নেই। ৫০ টাকার ভাড়া দেড়শ’ টাকা, ২শ’ টাকার ভাড়া ৫শ’ টাকা। এছাড়া যাত্রীদের লাগেজ, ব্যাগ ও মালামাল নিয়ে টানাহেঁচড়া তো আছেই। লঞ্চ ঘাটে ভেড়ানোর সাথে সাথেই এসব যানবাহনের চালকরা চিৎকার চেঁচামেচি করে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। সব মিলিয়ে এক নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয় লঞ্চঘাটে। কাছেই থাকা নৌ পুলিশ বা ঘাটে থাকা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বললেও কোনো প্রতিকার পায় না যাত্রীরা।
|আরো খবর
আসন্ন ঈদুল আজহার মাঝখানে আর মাত্র একদিন। ১৭ জুন সোমবার বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। বৃহস্পতিবার ছিল সরকারি শেষ অফিস। বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকা থেকে মানুষজন বাড়ির দিকে ছুটতে থাকে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ লঞ্চে ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসছে। ঈদের আগের দিন ১৬ জুন পর্যন্ত এভাবে চলবে। কিন্তু চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে এ সময়ে যে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা দেশের কোনো লঞ্চ ঘাটে এমন দেখা যায় না। লঞ্চের যাত্রীরা অটোবাইক চালক এবং সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। যাত্রীরা লঞ্চ থেকেই নামতে পারে না চালকদের দৌরাত্ম্যের কারণে। লঞ্চের সামনে তারা দল বেঁধে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। লঞ্চ থেকে পন্টুনে নামার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় যাত্রীদের মালামাল নিয়ে টানাটানি। চিৎকার চেঁচামেচি তো আছেই। সবচেয়ে ভোগান্তি হচ্ছে, অটো বা সিএনজি শহরের উপরে কাছে কোনো যাত্রী নিবে না। আর কালীবাড়ি, শপথ চত্বর বা শহরে কোথাও অটোতে উঠতে চাইলে ভাড়া সকল সীমা ছাড়িয়ে ৫০ থেকে ১শ’ টাকা দাবি করা হয়। কালীবাড়ি যাত্রী নিতেও চায় না অটো চালকরা। এভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। এ অবস্থায় অসহায় যাত্রীরা কাছেই থাকা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি অথবা ঘাটে ঈদ উপলক্ষে স্থাপিত পুলিশের কন্ট্রোল রুমে গিয়ে প্রতিকার চাইলেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তারা সাফ জানিয়ে দেন, এটা আমাদের কাজ না। আমাদের কাজ হলো চুরি, ছিনতাই, মাদক পাচারকারী আটক করা। আপনারা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে এমন অসহযোগিতা পেয়ে মানুষ খুব বেশি হতাশায় পড়েন। যাত্রীরা ঢাকা থেকে আসছে, বাসাবাড়িতে যাবে! এ সময় কি তাদের পক্ষে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেয়া সম্ভব! আর থানায় যেতে হলেও তো সেই যানবাহন লাগবে। ঢাকা-চাঁদপুরের লঞ্চ যাত্রীরা এই ভোগান্তি থেকে নিস্তার পেতে চায়।