সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুরে ৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা

১ মাস ২৫ দিনে জাটকা নিধন প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ১২৮, অভিযান ৫৭১, জাটকা ৩.৩৬৬ মে. টন, অন্যান্য মাছ ৯.২৫ মে. টন, কারেন্ট জাল ৫৩.৮৭ লক্ষ মি. ও অন্যান্য জাল ১৬ টি, মামলা ৩৩৪, জেল ২৪৮, জরিমানা ৬.৫০৫ লাখ টাকা

মিজানুর রহমান ॥
চাঁদপুরে ৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা

চাঁদপুরে আসন্ন ইলিশ মৌসুমে প্রায় ছয় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের অভিযান কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। জেলেদের নদীতে নামতে দেয়া হয়নি। যার ফলে জাটকা চাঁদপুর অতিক্রম করে আবার সাগরে যেতে পেরেছে। সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা করায় আশা করছি এবার লক্ষ্যমাত্রার ৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এবার চাঁদপুরে জাটকা নিধন প্রতিরোধে দুই মাসের নিষিদ্ধ সময়ের ১ মাস ২৫ দিনে জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে ১২৮টি মোবাইল কোর্ট এবং দিনে ও রাতে নদীতে ৫৭১টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জাটকা মাছ ৩.৩৬৬ মে. টন, অন্যান্য মাছ ৯.২৫ মে. টন, কারেন্ট জাল ৫৩.৮৭ লাখ মিটার ও অন্যান্য জাল ১৬ টি জব্দ করা হয়। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৩৩৪টি ও জেলে গেছেন ২৪৮ জন। জরিমানা আদায় করা হয় ৬.৫০৫ লাখ টাকা।

২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মিলনস্থল ও আশাপাশের এলাকায় জেলা টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, জাটকা নিধন প্রতিরোধে এ বছর ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০টি স্পীডবোট দিয়ে দিন ও রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। রমজান মাসেও জেলা-উপজেলা প্রশাসন, আমাদের মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ নদীতে অবস্থান করে। যে কারণে অন্য জেলার জেলেরা নদীতে নামতে পারেনি। এরপরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে নেমেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সদরের আনন্দ বাজার জেলে পল্লী এলাকায় জেলেদের সাথে অভিযান সম্পর্কে মতামত জানেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তানজিমুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের কর্মকর্তা এবং সদস্যরা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়