প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:০৬
কচুয়ায় আগুনে ঝলসে যাওয়া শিশু শিক্ষার্থী সামিয়াকে বাঁচানো গেলো না
কচুয়ার শিশু শিক্ষার্থী সামিয়াকে বাঁচানো গেলো না। ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সবাইকে কাঁদিয়ে রোববার (২৬ জানুয়ারি ২০২৫) না ফেরার দেশে চলে গেলো।
|আরো খবর
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে ৪১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে শিশু সামিয়া (৬)-এর শরীর।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুক হাসান জানান, শিক্ষার্থী সামিয়া শিশু শ্রেণীর ছাত্রী। গেলো মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় বিদ্যালয় ছুটির পর সে বড়ো বোনের জন্যে অপেক্ষা করতে গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে মাঠে খেলা করে। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শিশু বাচ্চাটি শরীরে আগুন নিয়ে চিৎকার দিতে দিতে বিদ্যালয়ের বারান্দার দিকে ছুটে আসছিলো। শিক্ষক সোহেল রানা তাৎক্ষণিক ছুটে গিয়ে মেয়েটির জামা ছিঁড়ে ফেলেন। ততক্ষণে মেয়েটির শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা রেফার করেন।
সামিয়ার বাবা মিজানুর রহমান জানান, আমার দুই মেয়ে। বড়ো মেয়ে তেতৈয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ছোট মেয়ে সামিয়া শিশু শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুল ছুটি হওয়ার পর বড়ো বোনের জন্যে অপেক্ষা করতে গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে খেলার ছলে ময়লার স্তূপের আগুনে পড়ে গিয়ে তার শরীর ঝলসে যায়। খবর পেয়ে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাই। সামিয়া সেখানে ৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিলো। রোববার (২৬ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ১০ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
শিশু শিক্ষার্থী সামিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ