মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কের জন্যে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের অতি সন্নিকটে সড়কটির অবস্থান হলেও গত দুই দশকেও সড়কে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। সড়কটি রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা থেকে রামদাসেরবাগ দুই কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজনকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি হয়ে উঠে কর্দমাক্ত। তাই রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে দেখা যায়, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রূপসা থেকে খন্দকার বাড়ি ব্রিজের উপর দিয়ে রামদাসেরবাগ ও সাহাপুর হয়ে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের চলাচলের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের শুরুর অংশ সলিং ও কার্পেটিং হলেও মাঝখানের দুই কিলোমিটার সড়কের অবস্থা তথৈবচ।

একটু বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে যায় সড়কটি। সড়কটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় হেঁটে চলা ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থা নেই পথচারীদের। এছাড়া জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ি প্রায়ই খানা-খন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে ওই কাঁচা রাস্তাটি। কিন্তু মাত্র ২ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসী।

এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী উপজেলার উত্তরাঞ্চলের শোল্লা আশেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটিতে যখন কাদা হয়ে যায় তখন আমরা মোটরসাইকেলতো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেই এই দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।

ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ (১৭), রাকিব হোসেন (১৭) ও উম্মে হাবিবা (১৮) বলেন, আমরা এ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতের কারণে অনেক সময় ক্লাসে দেরি হয়ে যায়। রাস্তাটি কার্পেটিং করে দিলে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।

রামদাসেরবাগ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের মাদ্রাসার প্রায় ৩ শত শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তাটি কাঁচা হওয়াতে সামান্য বৃষ্টিতেই বেহাল অবস্থায় পতিত হয়। একই কথা জানিয়েছেন সাহাপুর চৌধুরী গাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আবু তাহের।

রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম কাউসারুল আলম কামরুল এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারীদের জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি অনেকবার এ রাস্তাটির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে জানিয়েছি।

উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, রাস্তাটির আইডি আমার জানা নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।