শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

২০৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর স্কুলে ৭ জোড়া টেবিল-বেঞ্চ ॥ পাঠগ্রহণ করতে হয় ফ্লোরে বসে
আলমগীর কবির ॥

হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ১৩নং আহমদাবাদ (রামরা) লুৎফুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর স্কুলে মাত্র ৭ জোড়া টেবিল-বেঞ্চ রয়েছে। এগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাস চলছে। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস করছে ফ্লোরে (মেঝেতে) বসে। রুম সঙ্কট, শিক্ষক সঙ্কট, টেবিল বেঞ্চ সঙ্কটে দীর্ঘদিন যাবৎ ভুগছে বিদ্যালয়টি।

সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রয়োজন ভেবে ১৯৮০ সালে স্থানীয় আখন্দ বাড়ির মরহুম হাসেম আলী আখন্দের ছেলেরা বিদ্যালয়টির জন্যে জমি দান করে। সেই দানকৃত জমির ওপর ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের ৩২নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও বলাখাল মুকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মুকবুল আহমেদ আখন্দ তার মায়ের নামে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। গত ২০২২ সনের ২৮ মে বিদ্যালয়ের চারকক্ষ বিশিষ্ট নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু নতুন ভবনের নির্মাণ শেষে উদ্বোধনের সময় নতুন ভবনের জন্যে ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে টেবিল-বেঞ্চ আসার কথা থাকলেও দীর্ঘ দেড় বছরেও তা আসেনি।

ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগণ বলেন, গত প্রায় দুই বছর হয়েছে ভবন নির্মাণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী বসার মতো টেবিল-বেঞ্চ আসেনি। আমাদের সন্তানেরা নিচে বসে ক্লাস করতে হয়। তারা আরও বলেন, গত শীত মৌসুমে নিচে ফ্লোরে বসে ক্লাস করে ঠান্ডা লাগায় সন্তানদের চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে আমাদের। আগামী ক’দিন পর আসছে শীত। তারা দুঃখ করে বলেন, আমরা জানি বিদ্যালয় তদারকি করার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা থাকেন এবং পরিদর্শন করেন। কিন্তু দয়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত বিদ্যালয়ের জন্যে কী ভূমিকা রেখেছেন এবং তিনি কি বিদ্যালয়ে একবারের জন্যেও আসেন নি? আসলেও তিনি কী ভূমিকা রেখেছেন? আমাদের ছেলে-মেয়েরা ফ্লোরে (মেঝেতে) বসে ক্লাস করে।

প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি অনেক বার বিদ্যালয়ের টেবিল-বেঞ্চ চেয়ে মৌখিক ও লিখিত আবেদন করেছি, কিন্তু পাইনি। আমার বিদ্যালয়ে রয়েছে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট। ২০২২ সালে নির্মিত ভবনের কক্ষ চারটি। তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করছি। কিন্তু প্রাক্প্রাথমিক শ্রেণী হওয়ায় শ্রেণী কক্ষ দরকার চারটি, অফিস কক্ষ একটিসহ মোট পাঁচটি। ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে শিক্ষক দরকার ছয় জন, আছে তিন জন। প্রতি বছর শতভাগ পাস করলেও ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকগণ অনেক কষ্ট করতে হয়। ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারিত হলে শ্রেণীকক্ষের সমস্যা সমাধান হবে বলে প্রধান শিক্ষক আশাবাদী।

সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহ জাহান বলেন, পূর্বে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের ও একই সাথে ফার্নিচারের বরাদ্দ দিতো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু বর্তমানে নতুন ভবন নির্মাণে আলাদা ও ফার্নিচার আলাদাভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। পূর্বের মতো বরাদ্দ না দেয়ায় ভবন নির্মাণের সাথে ফার্নিচার বরাদ্দ দেয়া হয়নি। আশা করি চলতি অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের ফার্নিচারের বরাদ্দ হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়