প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে উপজেলা ও পৌর যুবদলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। উভয়পক্ষের দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সদ্য সাবেক হওয়া আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে সম্মেলন, নূতন কমিটি ঘোষণা এবং পাল্টাপাল্টি মামলার কারণে থমকে দাঁড়িয়েছে যুবদলের কার্যক্রম। জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট শনিবার বিকেলে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিক জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ সম্মেলন স্থগিত করলেও রাতেই তারা আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে উপজেলা ও পৌর যুবদলের নয়া কমিটি ঘোষণা করে। পরদিন নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আঃ মতিনকে প্রধান আসামি, আহ্বায়ক মহসিন মোল্লাকে ২য় আসামি করে মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা (নং-২৫) দায়ের করে। অপরদিকে সদ্য বিলুপ্ত পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পূর্বের মামলার আসামি ফারুক হোসেন বাদী হয়ে নবঘোষিত উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টুসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে পাল্টা মামলা দায়ের (নং-২৬) করেন।
এ ব্যাপারে সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহসীন মোল্লা মুঠোফোনে জানান, মামলার বিষয়টি দুঃখজনক। বর্তমানে তারা জামিনের জন্য হাইকোর্টে রয়েছেন। এদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির ক’জন নেতা বলেন, সম্মেলন পরবর্তী পরিস্থিতি ফরিদগঞ্জের বিএনপির রাজনীতির জন্য মোটেই সুখকর নয়। আন্দোলনের মৌসুমে সম্মেলন নিয়ে দলের কর্তাব্যক্তিদের আরো গভীরভাবে ভাববার প্রয়োজন ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সমন্বয়কারী এমএ হান্নানের পরিচালিত আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজে উপজেলা ও পৌর যুবদলের সম্মেলনের আয়োজিত হয়। শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সম্মেলন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে নাম ঘোষণা দিয়ে পৌর যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ইমাম হোসেন ও নাজিম উদ্দিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন নেতা-কর্মী আহত হয়। জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিক সম্মেলন স্থগিত করলেও রাতেই জেলা যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক ইউসুফ মিয়াজী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির (জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতিক্রমে) মাধ্যমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করে আমজাদ হোসেন শিপনকে সভাপতি ও জাহাঙ্গীর আলম নান্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা যুবদল এবং ইমাম হোসেনকে সভাপতি ও আমিন মিজিকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।