প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
হাইমচরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার সহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে। ২৫ আগস্ট শুক্রবার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শরীয়তপুর ও ঈশানবালার বর্ডার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় সালাউদ্দিন সরদারের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটিও ভেঙ্গে দুমড়ে- মুচড়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আহতদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক সকলকে ঢাকায় রেফার করেন। তবে এ সন্ত্রাসী হামলা সাউদ আল নাসের করেছেন বলে অভিযোগ করেন আহত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে মুখোশ পরা একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা করেন। দুর্বৃত্তদের হামলায় সালাউদ্দিন সরদার গুরুতর আহত হন। তার সাথে থাকা সাবেক ইউপি সদস্য মিজান সরদার, আলামিন ও মনির মাতবর গুরুতর আহত হন। আহতদের মোল্লা বাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সালাউদ্দিন সরদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার করেন কর্মরত চিকিৎসক।
গুরুতর আহত সালাউদ্দিন সরদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাউদ আল নাসের একজনকে হত্যা করেন। সেই মামলার এক নম্বর সাক্ষী আমি। তারপর থেকে একাধিকবার এই চেয়ারম্যান সাউদ আমার উপর হামলা করে। এ বিষয়ে আমি হাইমচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। আমার ওপর যেকোনো সময় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে পারে বলেই থানায় একটি ডায়েরি করি। কিন্তু হাইমচর থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। আজ মোল্লার বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের, তার ভাই ফাহাদ আল নাসের, রিয়াদ, তার ভাগিনা, বোন জামাই, খলিল মাতাব্বরের ছেলে, আনসার, দেলোয়ার ও সবুজ আরশিনগর থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী এনে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তারা আমার ওপর অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমিসহ আমার সফর সঙ্গী সকলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।
আহত সাবেক ইউপি মেম্বার মিজান সরদার জানান, আমরা বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের, ফাহাদ আল নাসের, তাদের বোন জামাই, ভাগিনা, দেলোয়ার, আনসার, সবুজসহ আরশিনগর থেকে ভাড়া করা একদল সন্ত্রাসী ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে আমাদের সাথে থাকা অনেক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর আজকের এই হামলা হয়। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সাউদ জানান, আমি আজকে সকাল থেকে আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বাসায় অবস্থান করছি। সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আমি লোক মারফত জানতে পেরেছি। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই। সালাউদ্দিন সরদার লাইভে এসে আমাকে এবং আমার ভাইদের জড়িয়ে বলেছেন, ‘আমরাই নাকি উপস্থিত থেকে ঘটনাটি ঘটিয়েছি। আমি সকাল থেকে এখন পর্যন্ত চাঁদপুরেই আছি, আমার ছোট ভাই রিয়াদ আল নাসের ডেঙ্গু পজিটিভ নিয়ে চাঁদপুরে একটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সালাউদ্দিন সরদারের নোংরা রাজনীতির শিকার আমরা ইতিপূর্বে অনেকবার হয়েছি। এবারও তার উপর হামলার ঘটনাটির দায় আমার ও আমার পরিবারের উপর চাপাতে চাইছে’।