প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
কচুয়ায় ভারী বর্ষণে রাস্তায় জলাবদ্ধতা : কয়েক গ্রামের মানুষের চলাচলে ভোগান্তি
কচুয়া উপজেলার সিংআড্ডা-শফিপুর-আইনপুর সড়কে জলাবদ্ধতায় চলাচলে প্রায় ৪/৫টি গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। গত ক’দিনের ভারী বর্ষণে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসল্লিসহ প্রায় ৪/৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুদিকে মাটি ভরাট করে বাড়ি-ঘর তৈরি করায় রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুসহ ওইসব গ্রামের মুসল্লিরা চলাচল করতে পারছেন না। পানি বেশি থাকার কারণে রাস্তা না দেখা যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এই সড়ক দিয়ে সচরাচর ভারী যানবাহন চলাচল করলেও জলাবদ্ধতার কারণে বর্তমানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অটোবাইক চালক ইকবাল হোসেন, আলমগীর, এমরান হোসেনসহ অনেক চালক জানান, সিংআড্ডা-আইনপুর সড়কে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় হাঁটু সমান পানি থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। কয়েক দফায় এ সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্দুল বারেক, এলাকাবাসী নবীর হোসেন, সাইদুর রহমান, মোহাম্মদ মোস্তফাসহ অনেকে জানান, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে রাস্তা তলিয়ে যায়। দু’পাশে বাড়ির জন্য মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ ওই জলাবদ্ধতা নিরসনে এগিয়েও আসছে না।
এ সড়কের পাশে সিংআড্ডা বালিকা মাদরাসা, জামে মসজিদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সড়কে প্রতিদিন হাজরো মানুষ যাতায়াত করে, কিন্তু রাস্তায় পানি থাকায় যানচলাচল, পথচারীরা চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, সিংআড্ডা-শফিপুর-আইনপুর সড়কের জলাবদ্ধতার স্থানটি পরিদর্শন করেছি। অচিরেই এ জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হবে।