মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:১১

ফুঁসে উঠছে ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিক

যানজট নিরসনে একদিন পরপর ইজিবাইক চলার সিদ্ধান্ত ঠেকাতে হতে পারে আন্দোলন

যানজট নিরসনে একদিন পরপর ইজিবাইক চলার   সিদ্ধান্ত ঠেকাতে হতে পারে আন্দোলন
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট

চাঁদপুর শহরের সৌন্দর্য রক্ষার্থে এবং যানজট নিরসনে চাঁদপুর শহরের ইজিবাইকগুলো দু রঙে একদিন পরপর চলবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ফলে ফুঁসে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে চাঁদপুর শহরের ইজি বাইক মালিক ও শ্রমিকগণের।

জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার লাইসেন্সধারী প্রায় ২ হাজার ৬শ' ইজিবাইক চাঁদপুর শহরে চলছে। প্রতিবছর এই লাইসেন্সধারী ইজিবাইকগুলো লাইসেন্স বাবদ ১৫ হতে ২০ হাজার টাকা চাঁদপুর পৌরসভাকে প্রদান করে থাকে।

এদিকে এই ইজিবাইকগুলোর কারণে বিভিন্ন জায়গায় যানজট লেগেই থাকে বলা চলে। প্রশাসনের উদ্যোগে চাঁদপুর শহরের সৌন্দর্য ও যানজট নিরসনকল্পে একদিন পরপর দু কালারে ইজিবাইকগুলো চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। প্রশাসনের এই উদ্যোগের ফলে জেলা শহরের ইজিবাইকগুলোর মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো সময় হতে পারে আন্দোলন, মিছিল ও মিটিং।

এ নিয়ে কথা হয় চাঁদপুর পৌরসভার আওতাধীন ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিকদের সাথে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইজিবাইক মালিক জানান, প্রশাসনের এই উদ্যোগকে আমরা মেনে নিতে পারছি না। চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাঁদপুর শহরে যানজট নিরসনে আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে : চাঁদপুর শহরে চলমান ব্যাটারিচালিত রিক্সাগুলো শহর থেকে উঠিয়ে নিয়ে শহরের অলিগলিতে চলাচলের ব্যবস্থা করা, শহর থেকে সিএনজিচালিত গাড়িগুলো সরিয়ে ওয়্যারলেস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা এবং শহরের বাইরে থেকে আসা ইজিবাইক শহরে ঢুকতে না দেয়া।

আরেক ইজিবাইক মালিক জানান, আমরা প্রতিবছর এই ইজিবাইকগুলো চলাচলের জন্যে ১৫ হতে ২০ হাজার টাকা দিয়ে থাকি। যদি প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত অটল থাকে, আমরা ভবিষ্যতে লাইসেন্স বাবদ কোনো টাকাই চাঁদপুর পৌরসভাকে প্রদান করবো না। প্রশাসনের বুঝা উচিত, চাঁদপুর শহরে ২৬ শ' ইজিবাইক চলে। প্রতিটি ইজিবাইকের সাথে ২৬ শ' শ্রমিক ও ২৬ শ' মালিকের আয় -রোজগার জড়িত। প্রশাসনের উপরোল্লিখিত সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ইজিবাইকের মালিক-শ্রমিকের আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। যা তাদের পরিবারের আহার ও বসবাসে প্রভাব ফেলবে।

এদিকে ইজিবাইক চালায় এমন কিছু শ্রমিকের সাথে কথা হয়। তারা বলেন, প্রশাসনের এই উদ্যোগকে আমরা মেনে নিতে পারি না। প্রশাসন কর্তৃক এই উদ্যোগ নেয়া হলে প্রায় অর্ধেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। প্রশাসনের এই বিষয়গুলো ভাবা উচিত।

এ বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর পৌরসভার কিছু কর্মকর্তার সাথে। তারা বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে চাঁদপুর শহরের চলমান ইজিবাইকগুলোর ২০২৪-২৫ সালের লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এছাড়া প্রশাসনের সিদ্ধান্তক্রমে অটো গাড়িগুলোতে দু' কালারের রং লাগানো হবে। এক কালার একদিন চলে পরের দিন বন্ধ থাকবে। পরের দিন অন্য কালারের ইজিবাইক গাড়ি চলবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এরূপ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে চাঁদপুর পৌরসভার আগামী ২০২৫-২৬ সালের লাইসেন্স বাবদ টাকা অর্ধেকটাই কমে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়