প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫, ২০:৪৪
দখলমুক্ত হলো কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিক

ফরিদগঞ্জ উপজেলার দরিদ্র মানুষের জন্যে নির্মিত পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিকটির ভূমি মালিকানা নিয়ে জটিলতার মুখে পড়ে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যৌথ বাহিনী এটি দখলমুক্ত করেছে।
|আরো খবর
জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট (সি.বি.এইচ.সি.)-এর অর্থায়নে পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিকটি স্থানীয় নোয়াব আলী ভূঁইয়া, মনোয়ারা ও মনির উদ্দিনের দেওয়া জমির উপর নির্মিত হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে উদ্বোধনের পর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিয়মিত ওই এলাকার মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু স্থানীয় আব্দুর রহিম ও শারমিন আক্তার শাহনাজ দম্পতি হাসপাতালটির জায়গা নিজেদের দাবি করে আসছে। তারা এই দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত করা ছাড়াও এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সর্বশেষ গত শনিবার (১৪ জুন ২০২৫) ওই দম্পতি তাদের লোকজন নিয়ে ক্লিনিকে এসে চিকিৎসককে মারধরপূর্বক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেয়। তারা ক্লিনিকের সামনের প্রবেশপথে গাছগাছালি দিয়ে বেড়া নির্মাণ করে। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ওই ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
অবশেষে মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়ার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ওই ক্লিনিকটিকে দখলমুক্ত করে স্বাস্থ্যসেবা চালু করেন। এ সময় অভিযুক্ত শারমিন আক্তার শাহনাজকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, দীর্ঘদিন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলমান থাকলেও গত ১৪ জুন হঠাৎ করেই সম্পত্তি দাবি করে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেয় আব্দুর রহিম ও শারমিন আক্তার শাহনাজ দম্পতি। আমরা কাগজপত্র সংগ্রহ করে মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫) প্রশাসন ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় দখলমুক্ত করে স্বাস্থ্যসেবা পুনরায় চালু করেছি। এছাড়া ওই ঘটনায় রোববার (২২ জুন ২০২৫) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া জানান, গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মঙ্গলবার আমি ও যৌথ বাহিনী কাঁশারা ক্লিনিকটি দখলমুক্ত করেছি।