চাঁদপুরের বাস স্ট্যান্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলা

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হাঁসা গ্রামের মাদক সম্রাট মোবারক পাটোয়ারী (৪৭)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ডিবি পুলিশ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জের মাদকের বড়ো বড়ো চালান পাচার করার সাথে জড়িত ছিলো এই মাদক ব্যবসায়ী মোবারক পাটোয়ারী। এছাড়াও সে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ এলাকার মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে তৎকালীন সময়ে গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের ডিবির এসআই মাজাহার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপান সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৩ জুন ২০২৫) রাতে খবর পেয়ে হরিপুর বাজার এলাকা থেকে মোবারক পাটোয়ারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ডিবি পুলিশের হাতে আটক হওয়া মোবারক পাটোয়ারী পশ্চিম হাঁসা গ্রামের মৃত জব্বর পাটোয়ারীর ছেলে। চাঁদপুরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলায় মোবারক পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের পাঠায় চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

ফরিদগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোবারক পাটোয়ারী গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। এদিকে মোবারক পাটোয়ারীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্যে অনেক নেতা-কর্মী ও শীর্ষ মাদক কারবারিরা তদবির করেও ব্যর্থ হয় বলে জানা যায়। মোবারক হোসেন পাটোয়ারী আটকের ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, মোবারক হোসেন পাটোয়ারী একজন সন্ত্রাসী। সে বিগত এক যুগের অধিক সময় পেশী শক্তি ও ক্ষমতার দাপটে সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতার দাপটে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকাবাসী কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননি। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে তার দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।