মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৩

শিশু হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো

মো. জাকির হোসেন
শিশু হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে মর্মান্তিক ও নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী থানা। পরকীয়া প্রেমের জেরে ছয় মাস বয়সী শিশুকে হত্যার ঘটনায় শিশুটির মা মোসা. ফাতেমা বেগম (২৫) এবং তার প্রেমিক মো. জাফর (৩৬)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

লাশের সন্ধান ও প্রাথমিক তদন্ত

গত ৬ ডিসেম্বর বিকেলে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ১২৪ নম্বর পিলার সংলগ্ন লেকপাড় থেকে একটি ব্যাগের ভেতর কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ এবং পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

পরবর্তীতে পুলিশের নিবিড় তদন্তে মৃত শিশুটির পরিচয় শনাক্ত হয়। জানা যায়, শিশুটির নাম আমেনা এবং তার বয়স ছয় মাস।

গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উন্মোচন

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটির মা ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তার পরকীয়া সম্পর্ক এবং হত্যার বিষয়টি সামনে আসে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে গ্রেপ্তার করা হয় ফাতেমার প্রেমিক জাফরকে।

পুলিশ জানায়, ফাতেমা ও জাফর দুজনেই বিবাহিত। ফাতেমা তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে জাফরের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন।

নৃশংস হত্যার বিবরণ

গত ৫ ডিসেম্বর রাতে জাফর ফাতেমার বাসায় আসেন। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় শিশুটির কান্না তাদের মধ্যে বাধা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা শিশুকে স্যুপের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। পরে বালিশ চাপা দিয়ে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

মৃতদেহ কাপড়ে মুড়িয়ে একটি শপিং ব্যাগে ঢোকানো হয়। এরপর জাফর লাশটি দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল পিলারের কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

স্বীকারোক্তি ও তদন্ত

ফাতেমা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদিকে, জাফর ছয় দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। পল্লবী থানার পুলিশ জানায়, মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং জাফরের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

সমাজে প্রশ্নবিদ্ধ নৈতিকতা ও বিচার দাবি

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের প্রকট চিত্র তুলে ধরে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত বিচার এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়