প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:২৭
আওয়ামী লীগে যারা খারাপ তাদের বিচার রাষ্ট্র করবে
.............ইঞ্জি. মমিনুল হক
যারা আওয়ামীলীগ করে তারা সবাই খারাপ না। খারাপের সংখ্যা ৮/১০ ভাগ। এই খারাপদেরকে তাদের খারাপ কাজের কারণে রাষ্ট্র বিচার করবে। আমারা আইন হাতে তুলে নেবো না, তাদেরকে আইনের আওতায় আসতে হবে। তারা অতীতে আমাদের লোকজনকে মেরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে 'জয়বাংলা'। রোববার (৬ জানুয়ারি ২০২৫ ) হাজীগঞ্জের রাজারগাঁওয়ে আযোজিত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামত কর্মসূচি বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চাঁদপুর ৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) বিএনপির সমন্বয়ক ইঞ্জি. মমিনুল হক।
|আরো খবর
রাজারগাঁও ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত সভায় ইঞ্জি. মমিনুল হক আরো বলেন, এই রাজাগাঁওয়ে ২০১৯ সালে আমার নেতা সাবেক এমপি মতিন সাহেবসহ এসেছিলাম, মতিন সাহেবকে দেখার জন্যে এখানে বহু মানুষ সেদিন অপেক্ষায় ছিলো, আমি সেদিন অভিভূত হয়েছিলাম।
জাতীয় ইস্যু নিয়ে ইঞ্জি. মমিনুল হক বলেন, আমার নেত্রী (খালেদা জিয়া)কে ৪ কোটি টাকা দেখিয়ে মিথ্যা মামলায় ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিলো, অথচ তার (শেখ হাসিনা) নিজ মুখে বলে তার পিযন ৬শ' কোটি টাকার মালিক। একটা প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিজ মুখে দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে বলেছে।পলাতক স্বৈরাচার ফিরে ক্ষমতায় এসেছে এমন ইতিহাস পৃথিবীতে নেই, যারা ভাবতেছেন আপনাদের পালিয়ে যাওয়া নেত্রী ফিরে আসবে, সেই আশা কোনোদিন পূরণ আর হবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দুপুরের ভাত পর্যন্ত খেয়ে যেতে পারেন নি। আল্লাহ যাকে ক্ষমতা দিতে পারেন, তা আবার ফিরিয়ে নিতে পারেন। সেদিন স্বেরাচারী হাসিনা হেলিকাপ্টারে ওঠার আগে তার ১৪ সুটকেস উঠেছে কিনা বারবার তাগাদা দিচ্ছিলো। সেই সুটকেসে ডলার, ইউরো ছিলো, ১৭ বছর বিভিন্নভাবে লুটপাটের পর ১৪ সুটকেসে করে ডলার, ইউরো নিয়ে গেছে।
রাজারগাঁওয়ের উন্নয়নের বিষয়ে ইঞ্জি. মমিনুল হক বলেন, আমি নির্বাচিত হলে বিএনপি অধ্যুষিত রাজারগাঁওকে নতুন রূপে সাজানো হবে, উন্নয়ন যা বাকি আছে তা সমাপ্ত করা হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইমাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম.এ. রহিম পাটওয়ারী, সহ-সভাপতি মো. শাহআলম খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ. নাফের শাহ্, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কাজী মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আকতার হোসেন দুলাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন বেলাল, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদার প্রমুখ।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের সভাপ্রধানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান নেছার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ঢালী, কৃষক দলের সভাপতি খায়রুজ্জামান, যুবদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল করিম, সহ-সভাপতি বাশার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাজী মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু বকর নয়ন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নকিব হোসেন, ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান, হারেছ আহমেদ প্রমুখ।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ইমাম হোসেন লিটন, সাহাব উদ্দিন শাহীন, রফিকুল ইসলাম রনি, মারুফ খাঁন রাসেল, আলাউদ্দিন, ছাত্রনেতা শামসুদ্দিন নূরসহ উপজেলা, পৌর ও রাজারাগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।