প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৬
তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩, আহত ৬২
ভূমিকম্পে কাঁপলো তিব্বত!
|আরো খবর
ভূমিকম্পের বিবরণ: তারিখ ও সময়: ৭ জানুয়ারি ২০২৫, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিট।মাত্রা: রিখটার স্কেলে ৭.১। গভীরতা: ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। কেন্দ্রস্থল: তিব্বতের শিগাৎসে শহরের নিকটবর্তী এলাকা। ক্ষয়ক্ষতি: নিহত: ৫৩ জন। আহত: ৬২ জন। বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত: প্রায় এক হাজারেরও বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উদ্ধার কার্যক্রম: চীনের বিমান বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। এ কাজে ড্রোনও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল এবং তীব্র শীতল আবহাওয়া উদ্ধার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। এছাড়া, ভূমিকম্পের পর থেকে পানি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আফটারশক: ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলেছে।
আন্তর্জাতিক প্রভাব: ভূমিকম্পটি নেপাল, ভুটান, ভারত এবং বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে। ঢাকা থেকে ৬১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে তিব্বতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ভূমিকম্প হয়।
আবহাওয়া পরিস্থিতি: শিগাৎসে শহরে বর্তমানে আংশিক রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫°C এবং সর্বনিম্ন -১৫°C হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে, যা উদ্ধার কার্যক্রমে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
সতর্কতা:: বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে আরও আফটারশকের আশঙ্কা করছেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
উপসংহার::
তিব্বতের এই ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি অত্যন্ত দুঃখজনক। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে, তবে দুর্গম এলাকা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তা ব্যাহত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্যের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।