প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৬
চাঁদপুর হোক জনপ্রশাসন সংস্কারের রোল মডেল
------------------ড. মো. আইয়ুব মিয়া
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অন্যতম সদস্য ড. মো. আইয়ুব মিয়া বলেছেন, জনবান্ধব ও সুশাসনের জন্যে সরকারি
|আরো খবর
প্রশাসনের কাজের রোল মডেল হোক চাঁদপুর। তিনি বলেন, রাতারাতি কোনো পরিবর্তন করা যাবে না ঠিক। তবে সবার সহযোগিতা পেলে এবং বিভিন্নজনের মতামত পেলে সংস্কার কমিশন সুপারিশ আকারে তা সরকারের কাছে তুলে ধরবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বক্তৃতা করছিলেন। সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন, ছাত্র প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
ড. মো. আইয়ুব মিয়া বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কেনো শুরু হওয়ার কথা বলা হলো এই চাঁদপুর থেকে? তার কারণ হচ্ছে, বিগত ৫ আগস্ট দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর থেকে এই জেলায় একটা স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতার চিত্র পাওয়া গেছে। পদ্মা ও মেঘনায় অবৈধ বালু মহাল ও তদবির বন্ধ এবং আইনশৃঙ্খলার উন্নতি। জেলা প্রশাসক তথা গোটা প্রশাসনযন্ত্রের কঠোর অবস্থানের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতা না থাকলে এটা কিছুতেই সম্ভব হতো না।
তিনি আরো বলেন, জনপ্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের দরজা সবসময় তৃণমূলের মানুষের জন্যে খোলা রাখতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক চাপমুক্ত হলে প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আরেক সদস্য ড. মো. হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অনেক উপাদান জড়িত। এসবের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। আবার নতুন করে কেউ যেনো স্বৈরাচারী না হতে পারে, তার জন্যেও আমাদেরকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মেহেদী হাসান বলেন, সবার আগে নিজেদেরকে সংশোধন করতে হবে। কারণ, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সকল অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক এমনকি সাংবাদিকরা পর্যন্ত দলকানা হয়ে গেছেন। তাই এখন প্রয়োজন সবার মাইন্ড সেটআপ চেঞ্জ করা। আর এসব করতে না পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না। কারণ, ইতোমধ্যে দেশের ২৩টি জেলায় মতবিনিময় করে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক সবাই কেবল নিজেদের সুযোগ- সুবিধা পেতে চান। কিন্তু গত ১৭ বছরে তারা এসব চাননি কেনো? সেই প্রশ্ন রাখেন উপস্থিত সবার কাছে। তাই পরিবর্তন করতে হলে সবাইকে জবাবদিহিতার মধ্যে আসতে হবে। এজন্যে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যডভোকেট সলিমুল্লাহ সেলিম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. নূর আলম দ্বীন, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহাবুবুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক আব্দুল আউয়াল রুবেল, জাকির হোসেন, তালহা জোবায়ের, জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য রবিউল আলম, সাগর হোসেন, রাহাত বিন রুবেল প্রমুখ।