প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৩
চিঠি

প্রিয় হেমকান্তি,
আপনাকে নিয়ে লিখব বলে কতো বিনিদ্র রজনী যাপন করেছি, মেঘপুঞ্জের বারিধারায় বিভোর হয়েছি! সে কথা না হয় অগোচরেই থাক!
হঠাৎ করে আজ পূর্ণিমার চাঁদ শুভলগ্নের সন্দেশ নিয়ে গুনগুনিয়ে মধুস্বরে এসে ধরা দিল আমার আঙিনায়। তাই আমিও ঝিনুকের ন্যায় তিল তিল করে আবদ্ধ করে রাখা ভালোবাসার রত্নখানি খোলা চিঠির নামে একটা প্রস্থান গড়ে দিলাম।
কেননা রূপবতী রমনীদের প্রত্যাখ্যান করতে নেই! নতুবা তাদের অভিশাপ লাগবে!
বাহিরে চাঁদের স্নিগ্ধ উজ্জ্বল সোনালি আভা। আর আমি জানলার পাশে শীতল বাতাসের তোড়ে জোনাকির আলোয় আপনার জন্য একখানা চিঠি লিখতে বসে গেলাম। ভুলত্রুটি যদি হয়ে যায়, ক্ষমা করিয়েন প্রিয় রূপমঞ্জরি পদ্মাবতী। কেননা এই কাঁপা হাতের লেখায় প্রত্যেক অক্ষরে মিশেছে আমার অস্তিত্বের একাংশ। সুস্পষ্ট মনোরম মনোভাব চিঠির প্রদর্শন কীভাবে করতে হয় আমার জানা নেই! কোন শব্দের গাঁথুনিতে আপনার মন পুষ্পের ন্যায় ফুটে উঠবে সেই শব্দভাণ্ডারের তালাসে চাঁদের সাথে একান্তভাবে আলাপন করতে বসলাম। আকাশের ঐ চাঁদের দিকে তাকিয়ে ভাবছি, কী মিষ্টি আলো ঐ চাঁদে! যে আলো আপনার মতো রমনীকে ঘিরে রাখে প্রতিটি রাত!
প্রিয় স্নেহাশীষ নাজনীন ম্যাম,
একদিন আইসেন আমার জরাজীর্ণ কুঠিরে অথিতি পাখি হয়ে, অন্ধকারে নিভে থাকা প্রদীপটাও হয়তো তখন আলো দেবে নতুন করে।
আমার এ হতবুদ্ধ মন আপনার পদধ্বনির প্রতীক্ষায় প্রহর কাটাচ্ছে। এই শহরটা খুব কঠিন! বাস্তবতার অজুহাত দেখিয়ে সময়ের বিবর্তনে ভুলে যায় অনেক কিছু। কিন্তু আপনি আমাকে ভুলে যাইয়েন না, একটু করে হলেও স্মৃতি রোমন্থন করে রাখিয়েন।ইতি
আপনার অজান্তে থাকা
ইসরাত জাহান তন্নি