প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০৬
সচিবালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া: প্রাইম এশিয়া শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি
সচিবালয়ে সংঘর্ষ!
|আরো খবর
ঘটনার পটভূমি:জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন, এবং স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের দাবিতে একত্রিত হন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে। তবে সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের বাইরে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য: এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় আমরা ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।”অন্য এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, “পুলিশ অহেতুক লাঠিচার্জ করেছে এবং আমাদের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করেছে।
পুলিশের অবস্থান: ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল না। রাস্তা অবরোধ করে তারা যান চলাচলে বাধা দিচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ এবং ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে।”
পরিস্থিতি এখন কী অবস্থায়: পুলিশের লাঠিচার্জের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা ছত্রভঙ্গ দেখা যায়। তবে তারা পরবর্তীতে পুনরায় সংগঠিত হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিরে যান। এদিকে, সচিবালয়ের ভেতরে থাকা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
বিশেষজ্ঞদের মতামত: এক শিক্ষাবিদ মন্তব্য করেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক, তবে আন্দোলনের সময় সহিংসতা এড়ানো উচিত। অন্যদিকে, প্রশাসনকেও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
জনপ্রতিক্রিয়া: ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন পথচারী জানান, “শিক্ষার্থীদের দাবি হয়তো সঠিক, কিন্তু রাস্তা অবরোধ করায় আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।”
সংক্ষেপে ৯ দফা দাবি:
১. স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ।
২. ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ।
৩. আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা।
৪. টিউশন ফি কমানো।
৫. প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
৬. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা।
৭. পাঠ্যক্রম উন্নত করা।
৮. দ্রুত সমস্যার সমাধান।
৯. শিক্ষার্থীদের সঠিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান।এই আন্দোলন শুধু প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের দাবি নয়, এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনার প্রতি একটি বার্তা। সরকারের উচিত শিক্ষার্থীদের দাবির বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে শিক্ষা কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা আসে।