প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
আমনেরা (সাংবাদিকরা) বহুত লেখছেন, এবার স্যারেগো একটু কন-এ কথাগুলো বলছিলেন মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জলাবদ্ধতার শিকার কৃষকরা। তারা স্যার বলতে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসানকে বুঝিয়েছেন। তারা বলেন, শুনেছি স্যারেরা নাকি খুব ভালো মনের মানুষ। সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। স্যারদের কাছে মানবিক আবেদন মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি নিষ্কাশন খালগুলো দখল মুক্ত করে আমাদেরকে জলাবদ্ধতা হতে রক্ষা করবেন। তা না হলে প্রতি বছর জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক ফসলহানি ঘটলে আমরা মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো।
অব্যাহত প্রবল বর্ষণে মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ও দখলদারিত্বে খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। যার কারণে এ মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, বাড়ি, রাস্তা ও মৎস্য খামার।
কৃষকরা জানিয়েছেন, পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ছেংগারচর বাজার এলাকায় পাউবো’র খালটি একেবারে বন্ধ হয়ে আছে। খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এবার জলাবদ্ধতার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবো। প্রতি বছরই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে অনাবাদী থাকে কয়েক হাজার একর জমি। এভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সেচ প্রকল্পটি আমাদের জন্যে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৯৮৮ সালে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কয়েক বছর পর থেকেই পাউবোর ও সরকারি পানি নিস্কাশন খালগুলো দখল ও ভরাট হতে থাকে। এখন অনেক খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। তাই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় এখানে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, প্রতি বছরই সাংবাদিকরা জলাবদ্ধতার বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় তুলে ধরছেন। কিন্তু পাউবোর কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছে।