প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের তত্ত্বাবধানে গঠিত ‘পৌর মনিটরিং সেলে’র জরুরি মানবিক সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এই মনিটরিং সেলের তত্ত্বাবধানে কিউআরসির সদস্যরা হটলাইনে সহায়তা প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন এবং জরুরি অক্সিজেন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এই মনিটরিং সেলের সদস্য সচিব ও কিউআরসির অন্যতম সমন্বয়কারী মোঃ মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সকল শ্রেণির মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। তারা কারো কাছে প্রকাশ্যে হাতও পাততে পারে না এবং জনসম্মুখে বিতরণ করা সাহায্য আনতেও পারে না। নিজের অভাব-অনটনের কথা কারো কাছে বলতেও পারে না। এ বিষয়গুলো চিন্তা করে আমাদের মেয়র মহোদয় নীরবে ওইসব অভাবগ্রস্তের বাসায় খাদ্য সহায়তা (চাল) পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেন। একইসাথে যাদের ঔষধ কেনার সামর্থ্য নেই তাদের প্রয়োজনীয় ঔষধ, অক্সিজেন সেবা এবং জরুরি পরিবহন সেবা দেয়ারও উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা থেকেই মেয়র মহোদয় ‘পৌর মনিটরিং সেল’ নামে জরুরি মানবিক সেবা কার্যক্রমের একটি সেল গঠন করেন।
মেহেদী জানান, গত ৩১ জুলাই থেকে চাঁদপুর পৌর এলাকায় এই মনিটরিং সেলের কার্যক্রম শুরু হয়। ৩১ জুলাই থেকে গতকাল ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই নয়দিনে চাঁদপুর পৌর এলাকার ১৩৮২ জনকে খাদ্য সহায়তা এবং ৭৬ জনকে অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হয়। তিনি আরো জানান, আমাদের হটলাইনে যারা যোগাযোগ করে, তাদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসে কিউআরসির সদস্যরা। ১২ সদস্যের পাঁচটি গ্রুপ এবং পাঁচটি মোটরসাইকেল রয়েছে এই কিউআরসি টিমের। কিউআরসির সদস্যরা মোটরবাইকে করে ওইসব বাড়িতে সহায়তা পৌঁছে দিয়ে আসে। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনায় আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মেয়র মহোদয় অসুস্থ অবস্থায়ও এই কাজের মিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন।
এসব সেবার বাইরেও কিউআরসির সদস্যরা লকডাউনকালে মানুষকে সচেতন করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাঠে প্রচারণার কাজও করে থাকে।