প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, করোনার সংক্রমণ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। চীন ও ভারতে করোনা সংক্রমণ আবারো বাড়ছে। কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিসহ সবাইকে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে হবে, যাতে করোনা আবার ছড়িয়ে না যায়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা-২০২৩-এর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সমন্বয়সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমায় বিশুদ্ধ পানি, ঢেউটিনের ব্যবস্থা করা ছাড়াও পাকা টয়লেট ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন। আগে মুসল্লিরা চটের বস্তা দিয়ে তৈরি করা অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করতেন। এতে মুসুল্লিরা ডায়রিয়াসহ নানা পেটের পীড়ায় ভুগতেন। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩১টি পাকা বহুতলবিশিষ্ট টয়লেট ভবন ও পাকা গোসলখানা তৈরি করে দেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমাস্থলে প্রধানমন্ত্রী বিশুদ্ধ পানির জন্য ১৩টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছেন। এছাড়া টঙ্গী এলাকায় ২০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছেন। এখানকার অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার এবং ইজতেমা ময়দান তৈরি করতে জায়গা ভরাট করে দিয়েছেন। এ ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আমরা টঙ্গীবাসী অনেক উপকৃত হয়েছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খাঁন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।