প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুরের কাঁচাবাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। নতুন আলু ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। গত ক’দিনের ব্যবধানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকাতে। ধনেপাতার দাম অনেক কমেছে। এছাড়া সপ্তাহ শেষে বাজারে কমেছে মুরগির দাম। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রকারভেদে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে মুরগির। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। মাছের বাজারও আছে আগের দামেই। গুঁড়া চিংড়ি মাছের দাম এখনও ৪/৫শ’ টাকা কেজি।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে মোটা চালসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম। মোটা চাল ন্যূনতম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২ টাকা। আর মাঝারি ও চিকন চালের দাম বেড়েছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলেন, মৌসুম শেষ হওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। কিছুদিনের মধ্যে আমনের চাল বাজারে আসবে। চালের দাম না কমায় হতাশ সাধারণ মানুষ।
বাজারে মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকা। মাঝারি মানের মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা ও সরু নাজির চাল ৭৫-৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে পাইজাম চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা, মিনিকেট ২ টাকা ও ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬৮ টাকা, মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা এবং মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, পুরানো আলু ২৮ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, শসা ৮০-১০০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, মূলা ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা করে এবং লালশাক ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, পাইকারী বাজারের দামের ওপর নির্ভর করতে হয়। পাইকারী বাজারে কম দাম থাকলে তারা কমেই বিক্রি করেন সবজি। বর্তমানে বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে ক্রেতারা জানান, কিছুটা স্বস্তি মিললেও সবজির দাম আরও কমা উচিত।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে।
সোনালি মুরগী ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব মুরগির দাম ১৫-২০ টাকা কেজি প্রতি বেশি ছিল।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পুঁটি মাছ ২০০-২৫০ টাকা, পুকুরের পাঙ্গাশ দেড়শ’ টাকা, রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।