শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে, বিএনপিতে কোনো গ্রুপিং নেই
গোলাম মোস্তফা ॥

চাঁদপুর সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক ভিপি ও চাঁদপুর পৌর বিএনপির পর পর দু’বারের সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি বলেছেন, বিএনপি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। বিএনপি কেনো, যে কোনো সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার মতো দুটি শীর্ষ পদ রয়েছে। এ পদগুলোতে অধিষ্ঠিত হতে বিএনপির মতো বিশাল রাজনৈতিক সংগঠনে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। তাই এই পদ পেতে বা নেতৃত্ব পেতে তুমুল প্রতিযোগিতা হয়, একে গ্রুপিং বলা চলে না। এক কথায় বলা যায়, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে, কিন্তু বিএনপিতে কোনো ধরনের গ্রুপিং নেই।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তার পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকার নি¤েœ তুলে ধরা হলো-

চাঁদপুর কণ্ঠ : জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছে কবে?

আক্তার হোসেন মাঝি : চলতি বছরের ২ এপ্রিল চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এ সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে কবে নাগাদ?

আক্তার হোসেন মাঝি : জেলা কমিটি গঠনের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির বিষয়। এই বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে হ্যাঁ, আমার জানামতে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দের সাথে বসে পরামর্শ করে এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। তবে চলমান আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে হয়তো কমিটি অনুমোদন করার বিষয়টি দেরি হচ্ছে। হয়তোবা শীঘ্রই কমিটি অনুমোদন দিবে, এটা আমার ধারণা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনারা নানা ইস্যুতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না ঘোষণা দিয়ে কার্যত সরকার পতনের আন্দোলনই করছেন। আন্দোলনের সাফল্যের ব্যাপারে কতোটুকু আশাবাদী?

চাঁদপুর কণ্ঠ : আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন বা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবো না শুধু এই ইস্যুই নয়, এক কথায় এই সরকারকে এদেশের জনগণ আর এক মুহূর্তের জন্য ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে ক্ষমতাচ্যুত করার এক দফার আন্দোলন করছি। আমাদের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে দিন দিন জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত এই অংশগ্রহণের কারণে কি বোঝা যায় না যে, এ সরকারের পতন হবে নিশ্চিত। আমরা এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকার আদায় করে ছাড়বো, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।

এই দাবি আদায়ের জন্যে আমাদের যত কিছু বা যত কঠিন আন্দোলন করার প্রয়োজন, আমরা সকল ধরনের আন্দোলনই করবো ইনশাআল্লাহ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : জেলা বিএনপির মধ্যে কোনো গ্রুপিং আছে বলে মনে করেন? উপজেলা পর্যায়ের কী অবস্থা? সারাদেশের সর্বত্র গ্রুপিং না মিটিয়ে আপনাদের আন্দোলনের সাফল্য কি পুরোপুরি আদায় করতে পারবেন?

চাঁদপুর কণ্ঠ : বিএনপি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। বিএনপি কেনো, যে কোনো সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার মতো দুটি শীর্ষ পদ রয়েছে। এ পদগুলোতে অধিষ্ঠিত হতে বিএনপির মতো বিশাল রাজনৈতিক সংগঠনে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। তাই এই পদ পেতে বা নেতৃত্ব পেতে তুমুল প্রতিযোগিতা হয়, একে গ্রুপিং বলা চলে না। এক কথায় বলা যায়, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে, কিন্তু বিএনপিতে কোনো ধরনের গ্রুপিং নেই।

শুধু জেলায় নয়, পুরো জেলা ইউনিটের কোথাও এ ধরনের গ্রুপিং নেই। আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করে বিএনপির রাজনীতি করছি। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আমাদের নেতা আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্নমালার বাইরে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে উপস্থাপন করুন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আমি আমার দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা এখন রাজপথে রয়েছি, আন্দোলন সফল করতে হলে দলের ঐক্যের প্রয়োজন। আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবো-এই হোক আমাদের শপথ।

উল্লেখ্য, আক্তার হোসেন মাঝি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করে ১৯৮৫ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করেন। তিনি ওই বছরই চাঁদপুর পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হন, ১৯৮৭ সালে তিনি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং একই বছর চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৯১-৯২ সালে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সাল থেকে পর পর তিন বার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও এরপর তিনি পর পর দু’বার পৌর বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এখনো এই দায়িত্বে রয়েছেন।

এছাড়াও তিনি চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়