শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

যারা ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, অন্যের দুর্নীতি নিয়ে তাদের কথা বলাটা হাস্যকর
গোলাম মোস্তফা ॥

চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র এবং চাঁদপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন বলেছেন, বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে তারা যে ইস্যু নিয়ে কথা বলার কথা, সেই ইস্যু বাদ দিয়ে নিজেদের নেতা-নেত্রীর বিষয়ে কথা বলছেন। তারা ভাবছেন এদেশের মানুষ এখনো বোকা রয়েছে। তারা জনগণকে বোকা বানিয়ে আবারো দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু তারা জানে না এদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। যারা দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, অন্যের দুর্নীতি নিয়ে তাদের কথা বলাটা হাস্যকর।

যেখানে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য অস্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে, সেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশ অনেক সুন্দর ও ভালোভাবে চলছে। অতএব, বিএনপির এই ইস্যু জনগণ খায় না।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তার পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি নি¤েœ তুলে ধরা হলো :

চাঁদপুর কণ্ঠ : আগামী ১০ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং তার পূর্বে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর ইউনিটের সম্মেলন। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

হেলাল হোসাইন : গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের সম্মেলন হওয়াটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগঠন গতিশীল হয়। প্রতি ৩ বছর পর পর সম্মেলন হলে দলের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে থাকে। আমার মতে, দলের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে আমাদের সরকারের উন্নয়ন ও ভিশন বাস্তবায়ন সহজ হবে। উন্নয়নের সকল কথা তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ জানবে। এই সম্মেলন আগামী নির্বাচনের জন্যে বিশাল গুরুত্ব বহন করে। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দল এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি মনে করি, জেলা সম্মেলন হওয়ার পূর্বে অধীনস্থ সকল ইউনিটের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্বের সৃষ্টি হবে এবং জেলা সম্মেলনের মাধ্যমেও নেতৃত্বের সৃষ্টি হবে। এতে করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যে দলের মঙ্গল হবে। আমরা মনে করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের জন্য দল আরো গতিশীল হবে, দলীয় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হবে। পরিশেষে সম্মেলনের সফলতা কামনা করছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি সম্মেলনের মাধ্যমে কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন?

হেলাল হোসাইন : আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিটে সৎ, কর্মী বান্ধব, ত্যাগী, দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রতি আস্থাশীল এমন যোগ্যরা দলের নেতৃত্বে আসবেন বলে আমার বিশ্বাস। সর্বোপরি সবকিছু বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যেটি ভালো মনে করেন সেটি করবেন। আমি যেহেতু সহযোগী সংগঠন করি, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে আগামী নেতৃত্বের জন্যে শুভ কামনা রইলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস সঙ্কট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ আরো কিছু কারণে বিএনপির যে ধারাবাহিক আন্দোলন, তাতে আপনারা কতোটুকু উদ্বিগ্ন?

হেলাল হোসাইন : বিএনপির এই আন্দোলন নিয়ে আমরা চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন, বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে তারা যে ইস্যু নিয়ে কথা বলার কথা, সেই ইস্যু বাদ দিয়ে নিজেদের নেতা-নেত্রীর বিষয়ে কথা বলছেন। তারা ভাবছেন এদেশের মানুষ এখনো বোকা রয়েছে। তারা জনগণকে বোকা বানিয়ে আবারো দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু তারা জানে না এদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। যারা দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, অন্যের দুর্নীতি নিয়ে তাদের কথা বলাটা হাস্যকর।

যেখানে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য অস্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে, সেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে দেশ অনেক সুন্দর ও ভালোভাবে চলছে। অতএব, বিএনপির এই ইস্যু জনগণ খায় না। জনগণকে বোকা বানানোর দিন শেষ হয়ে গেছে। আমি মনে করি, যাদের সাথে দেশের জনগণ নেই, তাদের এই আন্দোলন নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এ আন্দোলন সাংগঠনিকভাবে কিংবা অন্য কী উপায়ে মোকাবেলা করা যায় বলে আপনি মনে করেন?

হেলাল হোসাইন : একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নানা কর্মসূচি রয়েছে। আমরা আমাদের কর্মসূচি অনুযায়ী মাঠে রয়েছি এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনও কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে।

ইনশাআল্লাহ আমি মনে করি, আমাদের কর্মসূচির প্রতি জনগণের সাড়া রয়েছে এবং আমাদের কর্মসূচিতে জনগণের সমর্থন রয়েছে, আগামীতেও থাকবে। ফলে এমনিতেই তাদের আন্দোলন বুমেরাং হয়ে যাবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি এমন মানসিক আস্থা পোষণ করেন যে, বিদ্যমান সমস্যা বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক সঙ্কট, সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দা তথা নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ স্বীয় জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে পারবে? হেলাল হোসাইন : অবশ্যই, আওয়ামী লীগ আবারো এদেশের জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হবে। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, যা সারা বিশ্বে রোল মডেল। দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। এদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে আবারো রায় দিবে ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াবস্থায় হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পথচলা শুরু করেন। এরপর চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি জেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চাঁদপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে প্যানেল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়