প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আজ ১৪ নভেম্বর শপথ গ্রহণ করবেন। শপথ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সারাদেশের নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথ গ্রহণের পূর্বে রোববার গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সকলের আন্তরিক সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বিগতদিনে সরাসরি জনগণের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করলেও এবার জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনস্বার্থে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চাঁদপুরের জনপ্রতিনিধিগণ তাঁদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এজন্যে আমি তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ইভিএম পদ্ধতিতে একটি স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আওয়ামী লীগ সরকার, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেনসহ নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ নজিবুল্লাহ হিরু, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদসহ চাঁদপুরের বৃহত্তর আওয়ামী পরিবারের প্রত্যেক নেতা-কর্মী-সমর্থককে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। জেলা পরিষদ পরিচালনায়ও তাঁদের আন্তরিক সহযোগিতা আমি একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসিত এই নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে শতভাগ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক কারণে কোনো কোনো মহল ইভিএমণ্ডএর বিরোধিতা করলেও জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে ইভিএমণ্ডএর মাধ্যমেই শতভাগ স্বচ্ছ, নির্ভেজাল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সারাদেশে একযোগে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্যে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। কারণ, ভোট কারচুপি, জাল ভোট প্রদান, গণনায় জালিয়াতিসহ নির্বাচনী নানা অনিয়ম রোধের একমাত্র উপায় ইভিএমণ্ডএর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে আমি জেলাবাসীর দোয়া এবং সম্মানিত জনপ্রতিনিধিগণের মূল্যবান ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। দায়িত্ব গ্রহণ করে আমি প্রথমেই চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারের এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াই। এখন পর্যন্ত আমি তাদের পাশে আছি, সাথে আছি। মা/বাবার স্নেহবঞ্চিত এসব শিশু আমাকে ‘বাবা’ হিসেবে সম্বোধন করে। এটা আমার জন্যে পরম পাওয়া। এছাড়া চাঁদপুর মূক ও বধির বিদ্যালয়ের বাক-প্রতিবন্ধী ও শ্রবণ-প্রতিবন্ধী শিশুদের কাছে আমার নিত্য যাতায়াতে তারাও আমাকে আপন করে নিয়েছে। মুখের ভাষা না থাকলেও ইশারা-ইঙ্গিতে প্রকাশিত তাদের আন্তরিক অভিব্যক্তিতে আমি মুগ্ধ, ধন্য। জেলা পরিষদের মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের কল্যাণেও আমি কাজ করার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি আমাদের পরিষদের সদস্য ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা নিয়ে সারা জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করি। বিশেষ করে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত জনপ্রতিনিধিগণের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করি। পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমাকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সেই পদ থেকে আমি পদত্যাগ করি। বিগত জেলা পরিষদের প্রত্যেক সদস্য আমাকে আন্তরিকভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন। তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা অশেষ। নবনির্বাচিত পরিষদের সদস্যগণও আমাকে সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, সীমিত এডিবি বরাদ্দ ও রাজস্ব আয়ের মধ্যেও আমি আমার বিগত মেয়াদকালে চাঁদপুর জেলা পরিষদের মাধ্যমে সারা জেলায় বিপুল সংখ্যক আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ, ঘাটলা, গাইডওয়াল, সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কার, সীমানা দেয়াল ও নিরাপত্তা বেষ্টনি নির্মাণ/স্থাপন করা হয়েছে। সারা জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের উন্নয়ন/সংস্কার কাজ করা হয়েছে। মাননীয় সংসদ সদস্যগণের সহযোগিতায় বিশেষ বরাদ্দ এনে বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিগত পরিষদের কার্যকালে মহান স্বাধীনতা দিবস, মহান বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে চাঁদপুর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সংবর্ধনা/সম্মাননা ও উপহার প্রদান করে তাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নিশ্চিতকরণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। দরিদ্র ও বেকারদের কর্মসংস্থানে বিপুল সংখ্যক সেলাই মেশিন, রিক্সা ও ভ্যান দেয়া হয়েছে। অসুস্থ, দরিদ্র ও এতিমদের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও অনুদান দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদের বেদখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার করে তা সংরক্ষণ ও লিজ প্রদান করে পরিষদের রাজস্ব আয় বাড়ানো হয়েছে। জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে হাজীগঞ্জ বাজারে একটি বহুতল মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। বাবুরহাট বাজারে একটি বহুতল মার্কেট নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরে, কচুয়ার রহিমানগরে এবং হাজীগঞ্জ বাজারে আরো ৩টি মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এসব মার্কেট চালু হলে জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় আরো বৃদ্ধি পাবে। এভাবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে তা দিয়ে জেলাবাসীর সেবা ও কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমানের স্থায়ী কোনো ভাস্কর্য বা ম্যুরাল ছিল না। আমি বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানোর পর সরকারিভাবে সারাদেশের সকল জেলা ও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইতিমধ্যেই এ ধরনের ম্যুরাল স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া চাঁদপুর জেলা পরিষদের মাধ্যমে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বাবুরহাট এলাকায় একটি সুদৃশ্য ‘বঙ্গবন্ধু গেইট’ স্থাপন করা হয়েছে। যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা পরিষদে আমার কর্মকালীন বিগত সময়ে সারা জেলার মানুষের কাছে চাঁদপুর জেলা পরিষদ সর্বাধিক পরিচিত ও প্রত্যাশিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ জেলা পরিষদে আসছেন তাদের বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনা, অভাব-অভিযোগ, সুখণ্ডদুঃখ জানাতে ও সমাধান পেতে। যা ইতিপূর্বে আর কখনো দেখা যায়নি। সীমিত সামর্থ্যরে মধ্যেও আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সবচেয়ে বড় কথা, প্রয়োজনীয় সময় দিয়ে ধৈর্য্য সহকারে মানুষের কথা শুনে সমাধানের চেষ্টা করেছি। প্রতিদিন অফিস সময় এবং তার আগে-পরেও আমি অফিসে থেকে মানুষকে সময় দিয়েছি। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আমি চাঁদপুর ত্যাগ করিনি। চাঁদপুর শহরের মিশন রোডস্থ আমার ব্যক্তিগত অফিসটি সার্বক্ষণিক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল, এখনো আছে। ছুটির দিনেও মানুষের প্রয়োজনে আমি অফিসে গিয়েছি কিংবা আমার ব্যক্তিগত অফিসে মানুষকে সময় দিয়েছি। অনেক মানুষ তাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে খুশি হয়েছেন আবার অনেকে তাদের সমস্যা বলতে পেরে কিংবা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন। জনগণ ও জনপ্রতিনিধিগণকে দেয়া আমার অনেক প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে। দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি চলমান এসব উন্নয়ন/সেবা ও জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অসম্পূর্ণ কাজগুলো সমাপ্ত করা এবং আরো নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। জনগণের প্রত্যাশিত ও আমার প্রতিশ্রুত অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাবো। বিগত দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে আরো বেশি সংখ্যক জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণ এবং দ্রুততম সময়ে তা বাস্তবায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী দ্বিতীয় দফায় তাকে নির্বাচিত করায় জেলার সকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বারগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি জেলা পরিষদ পরিচালনায় আগামী দিনেও তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন রাজনৈতিক কর্মী। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে আমরা কাজ করবো। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সারা জেলার জনপ্রতিনিধিরা আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়েছেন। চাঁদপুরবাসীর উন্নয়ন ও সেবায় আমি সব সময় কাজ করবো। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। সে জন্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫টি আসন আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই। আল্লাহ হাফেজ, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।