প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
মতলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এসএমসির সভাপতির অভিযোগের তদন্তকালীন সময় রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির খানের ওপর হামলা করা হয়।
শিক্ষক হুমায়ুন কবির খানের বিরুদ্ধে এসএমসির সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন জামান গত ক’দিন পূর্বে মানববন্ধন করেন। ১২ অক্টোবরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির খান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের নিয়ে পাল্টা মানববন্ধন করেন।
উভয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম ৩ নভেম্বর বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে আসে। এ সময় এসএমসির সভাপতি, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন একপর্যায়ে এসএমসির সভাপতি কাজী মহিউদ্দিন জামানের সমর্থিত মানিক কাজী, বাতেন পাটোয়ারী, কাজী জাকির হোসেন মিন্টু, সেলিম শিকদার, কাজী রতনসহ আরো অনেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির খান ও তার পরিবারের ওপর হামলা করে। এতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতি কাজী মহিউদ্দিন জামানকে প্রধান আসামী করে এবং মানিক কাজী, বাতেন পাটোয়ারী, কাজী জাকির হোসেন মিন্টু, সেলিম শিকদার ও কাজী রতনকে অভিযুক্ত করে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। মতলব উত্তর থানা পুলিশ ১৪৩/৩২৩/৩০৭/ ৩৭৯/৩৫৪/৫০৬ ধারায় মামলা রেকর্ড করে, মামলা নং-০৬।
উল্লেখ্য, এ হামলার প্রতিবাদে ৬ নভেম্বর রোববার সকালে মতলব উত্তর উপজেলা কমপ্লেক্স ক্যাম্পাসে মানববন্ধন এবং বটতলায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে উক্ত প্রতিবাদে ৫ শতাধিক শিক্ষকের সমাগম ঘটে।
চাঁদপুর জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন প্রধানের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক নেতা আনোয়ারুল কবির ও মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বক্তবা রাখেন উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মুজাফ্ফর হোসেন ও ছৈয়দ আহমেদ বুলবুল, মামুনুর রশিদ, নূরে আলম ছিদ্দিকী, কোহিনুর আক্তার, সুখরঞ্জন বিশ্বাস, সালমা পারভীন, কুলসুম আক্তার, খায়ের উদ্দিন, শাহ আলম, আশেকুজ্জামান, তাহমিনা আক্তার, ফরিদ উদ্দিন, মহসীন মিয়া, আব্দুল হালিম, প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান, রাজীব ঢালী, শ্যামল কুমার বাড়ৈ প্রমুখ।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন জানান, এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।