শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউপি নির্বাচনে বিএনপির ৩ প্রার্থী নিয়ে দ্বিধায় নেতা-কর্মীরা
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

কার পক্ষে কাজ করবেন। একদিকে দলের নিদের্শনা, অন্যদিকে দলের একাধিক প্রার্থী। কী করবেন-এই দ্বিধায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো ধরনের নির্বাচন না করার অঙ্গীকার করলেও অনেকেই তা মানছেন না। এর সর্বশেষ উদাহরণ ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আগামী ২৮ নভেম্বর ইভিএমণ্ডএর মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্রের আড়ালে তারা নির্বাচন করছেন। এরা হলেন ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কাজী ও বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন পিন্টু কাজী। তাদের নির্বাচন করা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

বিএনপির সমর্থক ও কর্মীরা অনেকেই দ্বিধাবিভক্ত তাদের নির্বাচন নিয়ে। কেউ কেউ বলছেন বিএনপি প্রতীকে নির্বাচনে না গিয়ে কৌশলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাহলে বিএনপির প্রার্থী কাকে সমর্থন করবো এবং কাকে ভোট দিবো। এদিকে শনিবার (১২ নভেম্বর) চাঁদপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা কুমিল্লার বিভাগীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে একত্রিত হচ্ছে। সেই সভায় নির্বাচনের বিষয়টি উঠতে পারে বলে ধারণা করছে নেতা-কর্মীরা।

বিষয়টি নিয়ে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহমেদ খন্দকার বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ দলের আদর্শ ও নিদের্শনা না মেনে যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তবে তার দায়িত্ব ইউনিয়ন বিএনপি নিবে না। বিএনপি তার সাংগঠনিক নিয়মে চলবে। আশা করছি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদক এ ব্যাপারে ভূমিকা গ্রহণ করবেন। তবে আমি আমার কথা বলতে পারি, এই নির্বাচনে আমার কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। আশা করি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীরা সম্পৃক্ত হবে না।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি শরীফ মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, দল নির্বাচনে যাচ্ছে না। এরপরও যদি কেউ নির্বাচনে যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, আমি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করছি। দল নির্বাচনে যাচ্ছে না, তবে এর পূর্বেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। জনগণ আমাকে চায়, তাই আমি পুনরায় প্রার্থী হয়েছি।

আরেক প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কাজী বলেন, আমি দলের কোনো পদে নেই। তবে বিগত নির্বাচনে সরকারি দল আমর জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। মামলা করার পর জনগণের অনুরোধে মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছি। তবে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি যদি দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে তবে আমি তাকে সমর্থন দিবো। অপর প্রার্থী ইকবাল হোসেন পিন্টুর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়