প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী তানহা আক্তার নাদিয়ার হত্যাকারী মানিকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
১০ নভেম্বর সকালে স্কুল শিক্ষার্থী নাদিয়ার হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে কাদরা সড়কে এ মানববন্ধন পালিত হয়। এতে কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেন। এ সময় ঘাতক মানিকের ফাঁসি দাবি করে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বিল্লাল হোসেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু হানিফ পাটোয়ারী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ গোলাম আজম মিয়া, ইউপি সদস্য মোঃ মহররম আলী ও নাদিয়ার মা তাছলিমা বেগম।
বেলা সাড়ে ১১টায় ইউপি সদস্য মোঃ মহররম আলীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। মিছিলটি কাদরা কর্ণপাড়া এলাকা প্রদক্ষিণ করে নাদিয়ার কবর জিয়ারত করে সমাপ্ত হয়। এ সময় এলাকাবাসী খুনি মানিকের ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দেয়।
ইউপি সদস্য মহররম আলী বলেন, চুরির দায়ে জনতা কর্তৃক আটকের পর মানিককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হলে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত নাও হতে পারতো। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সমঝোতার কারণেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এবার সে যাতে ছাড়া না পায় ও ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াতে হয় তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।
কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু হানিফ পাটোয়ারী বলেন, এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা কমে গেছে। মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বিল্লাল হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ কাদরা গ্রামকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে ঘাতক মানিকের ফাঁসি দিতে হবে। আমরা এ ঘটনার জন্যে তার ফাঁসি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের কাদরা মিঞা বাড়ির প্রবাসী শাহাদাত হোসেন বাবুর ছোট মেয়ে তানহা আক্তার নাদিয়া (৮)কে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ ডোবার পানিতে ডুবিয়ে দেয় খেড়িহর তেলি বাড়ির খুনি মোঃ মানিক হোসেন। শাহরাস্তি থানা পুলিশ ওই রাতেই তাকে আটক করে ।