শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ!
  •   এনআইডিতে ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
  •   জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি
  •   নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিললো পুকুরে
  •   সৌদি আরবে বাংলাদেশের ১৬তম  রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৪৭

হাজীগঞ্জে টোরাগড়-বড়কুল সেতু লাগোয়া সরকারি জায়গাতে দোকান ও দেয়াল নির্মাণ!

অনলাইন ডেস্ক
হাজীগঞ্জে টোরাগড়-বড়কুল সেতু লাগোয়া সরকারি জায়গাতে দোকান ও দেয়াল নির্মাণ!
হাজীগঞ্জে টোরাগড়-বড়কুল সেতু লাগোয়া সরকারি জায়গাতে এভাবে দোকান ও দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ছবি : চাঁদপুর কণ্ঠ।

ডাকাতিয়ার ওপর নির্মিত হাজীগঞ্জের টোরাগড়-বড়কুল সেতুর উত্তর পাশে সরকারি সম্পত্তিতে দোকান ও দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় মেন্দু মিয়া ও আকবর মিয়ার পরিবারের লোকজনের নামে এমন অভিযোগ উঠলেও তাদের দাবি--এটি সরকারি জায়গা নয়, তাদের নিজস্ব জায়গা। সরেজমিনে জানা যায়, ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত টোরাগড়-বড়কুল সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। উদ্বোধনের পূর্বেই টোরাগড় গ্রামের সেতুর উত্তর পাড়ের পূর্ব পাশে কয়েকটি দোকানঘর নির্মাণ ও দেয়াল তুলেছেন স্থানীয় মেন্দু মিয়া ও আকবর মিয়ার পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, সেতু লাগোয়া দোকানঘর নির্মাণ করায় ভবিষ্যতে ব্রিজের (সেতু) ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং সরকারি জায়গা বেদখলে যাবে। এছাড়া তাদের দখলের কারণে অন্য ব্যক্তিরাও সরকারি সম্পত্তি দখলে উৎসাহিত হচ্ছে। দেয়াল নির্মাণ করার কারণে ইতোমধ্যে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বিবাদ দেখা দিয়েছে। এতে করে যে কোনো মুহূর্তে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে মেন্দু মিয়ার ছেলে লিটন সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে নয়, আমরা আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে দোকানঘর তুলেছি। তবে সরকারি সম্পত্তিতে দোকানের ছাউনির (চালা) কিছুটা গিয়েছে। সরকার যদি চায়, তাহলে আমরা দোকানের ছাউনি কেটে দিবো। এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকারি লোক এসে দেখে গেছেন। আমরা সরকারি সম্পত্তি দখল করিনি। তবে আমরা চাই সরকার যতটুকু সম্পত্তি একোয়ার (অধিগ্রহণ) করেছে, ততোটুকু চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। তাহলে আমরাও হয়রানি থেকে মুক্তি পাবো। এক হাত হোক, আর দুই হাত। অন্যের সম্পত্তি নয়, আমরা আমাদের সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মাণ করেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বলেন, স্থানীয় ও এলাকার কয়েকজন লোক আমার কাছে এসেছেন। তাদের অভিযোগের বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, সরকারি সম্পত্তি কেউ দখল করে থাকলে তদন্তপূর্বক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে দখলমুক্ত করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়