মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:২৬

মতলব উত্তরে বিজয় দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

প্রকৃত ইতিহাসটি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অপরিষ্কার : ডা. আনিসুল আউয়াল, পিএইচডি

মাহবুব আলম লাভলু
প্রকৃত ইতিহাসটি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অপরিষ্কার : ডা. আনিসুল আউয়াল, পিএইচডি

আগামী নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. আনিসুল আউয়াল, পিএইচডি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বাঙালি জাতির মধ্যে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। প্রকৃত ইতিহাসটি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অপরিষ্কার। আমি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার অংশীদার হতে চাই। গতকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৪) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার এনায়েতনগরে নিজ বাড়িতে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. আনিসুল আউয়াল আরো বলেন, আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলেই প্রত্যেকেই একেকজন মানুষ থেকে নাগরিক হয়ে ওঠবে। আর রাষ্ট্র উন্নয়নে নাগরিকের খুবই অভাব। যদি আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হই তাহলে আমরা বুঝতে পারবো কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত নয়। ঠিক তখনই আমরা সকলে উন্নত রাষ্ট্র গঠনে অংশীদার হতে পারবো।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সদস্য আনিসুল আউয়াল আরও বলেন, সামনে যে জাতীয় নির্বাচন আসছে, ওই নির্বাচনে আমি বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবো। দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে মনোনীত করবে। আমি শতভাগ আশাবাদী, বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দেবে। কারণ আমার বাবা চাঁদপুর জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম বিসিএসধারী কর্মকর্তা ছিলেন। আমার পরিবারের সবাই উচ্চ শিক্ষিত, আত্মীয়স্বজন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন এবং আছেন। আমার কোনো ব্লাক স্পট নেই। আমি সারাক্ষণ মানুষের জন্যে ভালো কিছু চিন্তা করি। তাই আমি মনে করি দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা মিলে একটি সংসদীয় আসন। এই দুটি উপজেলায় অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু মতলব উত্তর বেড়িবাঁধবেষ্টিত এলাকা, এখানে শিল্প ইন্ডাস্ট্রি করা সম্ভব। আই সেক্টরের বড় ফার্ম করা সম্ভব। এতে করে ইয়াং জেনারেশনের প্রায় কয়েক লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হবে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন অনেকাংশে বাড়ানো সম্ভব। শুধু তাই নয়, এই উপজেলায় সোলার প্লান্ট স্থাপন করে পুরো চাঁদপুর জেলার বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বিনোদনের জন্যে শিশুপার্ক নেই, যদিও অনেক আগেই পার্ক হতে পারতো। এসব উন্নয়ন আমি করতে চাই।

তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকল শহিদ বুদ্ধিজীবীর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং নিজের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, আমি ডা. আনিসুল আউয়াল পিএইচডি। আমি মতলব ডক্টরস ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, ডক্টরস ফোরাম বাংলাদেশ-এর সদস্য। রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। মতলব উত্তর উপজেলার এনায়েতনগর সরকার বাড়ির সন্তান আমি। ১৯৮১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মহান নায়ক এবং স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নির্দেশে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবার লক্ষ্যে সেন্টমার্টিনস আইল্যান্ড-এর প্রথম মেডিকেল অফিসার পদে পোস্টিং নেই। আমি ১৯৮৪ সালে এমপিএইচ, ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে মাস্টার্স (এমসিএন) এবং ১৯৯৫ সাথে অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করি। ২০০৬-এ আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসেল (বাংলাদেশ ক্যাম্পাস) থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে এমবিএ পাস করায় আমাকে চ্যান্সেলর্স গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। ২০০৭ সালে লন্ডন থেকে এফআরএসএইচ লাভ করি। ২০০৮ সালে এমসিজিপি ডিগ্রি অর্জন করি।

উপসচিব এবং যুগ্মসচিব হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং কেন্দ্রীয় তহবিলে কাজের সুবাদে সরাসরি প্রান্তিক মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। যেহেতু আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ এবং বিশ্বাসী, সেজন্য চাকুরিজীবনে আমাকে বারবার পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার পিতা মরহুম একেএম আব্দুল আউয়াল চাঁদপুর জেলার প্রথম বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)-এর কর্মকর্তা ছিলেন এবং নানা চাঁদপুর জেলার প্রথম মুসলিম এসডিও ছিলেন।

আওয়ামী লীগ-এর স্বৈরশাসনসহ সিন্ডিকেটের দুষ্টচক্রে দেশবাসীর প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত এবং দেশের সার্বভৌমত্ব যখন হুমকির মধ্যে ছিলো তখন আমি আমার চাকুরি এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে অনবরত লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছি। হাসিনার স্বৈরশাসনের পতনে আমি একজন এক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করেছি। আমি আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি এবং একই সাথে আপনাদের দোয়া প্রার্থী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়