প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪২
ভারতে প্রথম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস সংক্রমণ: সতর্ক কর্নাটক স্বাস্থ্য বিভাগ
বাংলাদেশ সতর্ক থাকবে কি?
ভারতে প্রথমবারের মতো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছে কর্নাটক স্বাস্থ্য দপ্তর। বেঙ্গালুরুতে তিন মাস এবং আট মাস বয়সী দুই শিশুর শরীরে এই সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সাম্প্রতিক ভ্রমণের কোনো রেকর্ড নেই।
|আরো খবর
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভি একটি শ্বাসতন্ত্রজনিত ভাইরাস, যা সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি-কাশি বা ফুসফুসের সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তবে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও ইতোমধ্যেই জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। স্বাস্থ্যসচিব হর্ষ গুপ্তা রাজ্যবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কর্নাটক স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এইচএমপিভি এবং চীনের যোগসূত্র: চীনে এই ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। স্থানীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ভাইরাসটি হাসপাতাল ও শ্মশানগুলোতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। চীন ছাড়াও মালয়েশিয়ায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে।
ভারতে শনাক্ত স্ট্রেনটির সঙ্গে চীনের ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের স্ট্রেনের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
সতর্ক বার্তা:
কর্নাটক স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যজুড়ে নজরদারি বাড়িয়েছে এবং জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেছে। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ভাইরাসটি সম্পর্কে জানতে যা জানা জরুরি:
উৎপত্তি: ২০০১ সালে প্রথম এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়।
প্রভাব: প্রধানত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টি করে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে।
লক্ষণ: জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।প্রতিরোধ: নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার এবং অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
উপসংহার: করোনা ভাইরাসের পরবর্তী মহামারির আশঙ্কা যেন বাস্তব রূপ না নেয়, সেজন্য এইচএমপিভি ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সতর্কতাই পারে সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে।