মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২১

চাঁদপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক

বুদ্ধিজীবীরাই মুক্তিযোদ্ধাদের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন

অনলাইন ডেস্ক
বুদ্ধিজীবীরাই মুক্তিযোদ্ধাদের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন
চাঁদপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের স্মরণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। পাশে দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নানা আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৪) দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে

শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলকে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান শেষে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজে দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর একই স্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

দুপুরে পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।

জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ওই সময় 'নক নক' এই শব্দটা বাঙালি জাতির কাছে একটা ভয়ের শব্দ ছিলো। অনেকে দরজা খুলেছে, আবার অনেকে দরজা খোলে নি। যারা খোলে নি, তাদের দরজা ভেঙ্গে তাদের তুলে নিয়ে গেছে। তুলে নিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন করে গুলি করে হত্যা করেছে। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তারা এ রকম করেছিলো।

ডিসি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী জানতো তারা এই দেশে বেশিদিন থাকতে পারবে না। তাদের মনের আক্রোশ, হিংসা, বিদ্বেষ মিটাতে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের মেরে ফেলেছিলো। আমরা যেন মাথা উঁচু করে না দাঁড়াতে পারি, দেশটা যেন উঁচু হয়ে না দাঁড়াতে পারে। তার জন্যেই এই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো।

জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তখন পরামর্শই দিতেন বুদ্ধিজীবীরা। তারাই মুক্তিযোদ্ধাদের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। আমরা এখনো মুক্তিযোদ্ধা বা বুদ্ধিজীবীদের যথার্থ সম্মান দিতে পারছি না। সম্মান বলতে তাদের সম্পত্তি বা টাকা দেয়া নয়। সম্মান বলতে তাদেরকে শ্রদ্ধা করা, দেশের প্রকৃত ইতিহাসকে লালন করা এবং তা পালন করা।

তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যখনই তাঁদের জীবনী সম্পর্কে জানবে, তখনই তোমাদের দেশপ্রেম জন্মাবে। এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান সম্পর্কে তোমাদের জানতে হবে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে তাঁরাই এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান।

স্থানীয় সরকার বিভাগ চাঁদপুরের উপপরিচালক মো. গোলাম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্য অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, আব্দুল হামিদ মাস্টার ও পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. মোবারক হোসেন চৌধুরী।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও প্রিয়াস গোস্বামী।

এছাড়াও জেলা পুলিশের উদ্যোগে বাবুরহাট এলাকায় পুলিশ লাইন্সে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুলিশ সুপার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছানা উল্লাহ খান, সরদার আবুল বাশার, ড. কাজী হাসেম, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী প্রমুখ।

এছাড়াও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ, জেলার ৮ উপজেলার সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুবই গুরুত্ব সহকারে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়