প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:২৪
তারেক রহমান রাজনৈতিক চর্চা কেন্দ্রের ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা
তারেক রহমানের হাত ধরেই জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে
'তারেক রহমান বাংলাদেশের তৃণমূল রাজনীতির বিকাশধারার জীবন্ত কিংবদন্তী এবং দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী', 'প্রথাগত রাজনীতির বাইরে রাজনীতি চর্চার পরিশীলিত রূপ'এই স্লোগানকে ধারণ করে ১/১১’র রাজনীতির বন্দিদশাকালীন পটভূমিতে প্রতিষ্ঠিত তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ-এর ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবাষিকীর আলোচনা সভায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহঃ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলমগীর নূরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান প্রবীণ সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। তাঁর নেতৃত্বে তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ১২ অক্টোবর সংগঠনের ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। যা দেশের সদ্য স্বৈরাচারের পতন, নতুন বাংলাদেশ এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক পটভূমিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে গবেষণা কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ ও চিন্তাাধারার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
|আরো খবর
তারেক রহমানের রাজনৈতিক আদর্শের মূল ভিত্তি হচ্ছে শহীদ জিয়ার উন্নয়ন ও উৎপাদনের রূপরেখা কালজয়ী ১৯ দফার আলোকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র, এবং সামগ্রিক জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির অনুপম আদর্শ এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, যা দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্যে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত বিপ্লব উদ্যানকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে বেছে নেন, যা বিশেষ অর্থবহ। বিপ্লব উদ্যান একটি ঐতিহাসিক স্থান, যা শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই স্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করার মাধ্যমে তারেক রহমানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি সম্মান জানানো হয়েছে, পাশাপাশি দেশের মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য শহীদ জিয়া (বীর উত্তম)-এর স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির উদ্যোগ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির দীর্ঘ সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম রিপন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা মহিউদ্দিন আজম খান, আতিকুর রহমান, ইকবাল হোসেন, হাজী আবদুর রহিম, শফিকুর রহমান, মো. আলাউদ্দিন মিয়া, মনিরুজ্জামান টিটু, হান্নান রহিম তালুকদার, মোঃ আবদুল সাত্তার, জান্নাতুন নঈম চৌধুরী রিকু, এডভোকেট ফরিদা আক্তার, কামরুন নেসা, ডাক্তার আবদুল্লাহ, মোঃ মুছা, ডাক্তার মানিক, পারভিন আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদুল করিম কচি তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, গবেষণা কেন্দ্রের সার্বিক কার্যক্রম তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে ও আদর্শকে তুলে ধরার একটি বিশেষ সুযোগ হিসেবে কাজ করেছে, যা দলীয় কর্মী ছাড়াও নতুন প্রজন্মের মধ্যে শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতি নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে এবং তাদের মধ্যে রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে পড়েছে। তারেক রহমানের রাজনৈতিক আদর্শের মূলমন্ত্র হিসেবে গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক এবং মানবিক দেশ গড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি দেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাসযোগ্য দেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই একমাত্র উপায়, সে পথেই বিএনপি অগ্রসর হচ্ছে। যোগ করেন তিনি।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আলমগীর নূর আরো বলেন, গত ১৭ বছরের বিএনপির নেতৃত্বে ধারাবাহিক গণআন্দোলনের পটভূমিতে সৃষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সদ্য পতিত স্বৈরাচার গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রযন্ত্রের সামগ্রিক অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে পালিয়ে গেছে। ১৭ বছরের স্বৈরশাসকের পদতলে বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন ও রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার করতে নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, বিএনপিই সবার আগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে ইতিপূর্বে। তারেক রহমানের হাত ধরেই জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে। সকল দল-মত-পথের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই একটি গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পলাতক স্বৈরাচারের আমলে দায়েরকৃত সকল রাজনৈতিক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান আলমগীর নূর।
তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রথান অতিথি জাহিদুল করিম কচি।