প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪১
একতা পরিবহনের দুর্বৃত্তরা জবির বাসে হামলা চালায়
মহাখালীতে রক্তাক্ত সংঘর্ষ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী বহনকারী উল্কা-৪ বাসে মহাখালী বাস টার্মিনালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় বাসের চালক জগদীশ গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তার হাত ভেঙে গেছে, এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও আহত হয়েছেন। এই হামলায় অন্তত ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
|আরো খবর
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জবির উল্কা-৪ বাসটি ক্যাম্পাসে ফেরার পথে একতা পরিবহনের বাসের চালক ও সহযোগীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। মহাখালী ইউটার্নে একতা বাস দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, ফলে জবি বাসটি চলতে পারছিল না। বাসের চালক একতা বাসের চালককে সাইড দিতে বললে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং কিছু সময় পর একতা পরিবহনের প্রায় পঞ্চাশজন বাস চালক ও সহযোগী লাঠি ও ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা:
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ জানান, হামলার সময় বাসে কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের উপরও ইট-পাথর ছুড়ে মারা হয়। বাসচালক জগদীশ অভিযোগ করেছেন যে, একতা বাসের কর্মচারীরা তাকে মারধর করে এবং তাকে গুরুতর আহত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
জবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক বলেছেন, “আমাদের ড্রাইভার জগদীশ মারাত্মক আহত হয়েছেন, তার চোখের অবস্থা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থায় এই ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি আরও বলেন, হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
শ্রমিক ইউনিয়ন ও একতা পরিবহনের প্রতিক্রিয়া:
ইতোমধ্যে একতা পরিবহন কর্তৃপক্ষ আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস মেরামতের জন্যও তারা ব্যবস্থা নেবে। এই ঘটনায় একতা পরিবহনকে ১,৫০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি সমাধান করেছেন এবং ছাত্রদের থেকে কোনো বাড়তি পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগের ঘটনার উল্লেখ:
এছাড়া, এর আগেও ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মহাখালীর একই জায়গায় জবির বাসের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌখিন বাসের স্টাফদের হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন।