প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২৩
ধর্মীয় স্থানে রাজনীতির অপব্যবহার! ফেনীতে মসজিদে ঘটনায় জনতা ক্ষুব্ধ
‘জয় বাংলা’ মসজিদে!
ফেনী সদরের ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদের ডিজিটাল স্ক্রিনে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নামাজের সময়ের পরিবর্তে ভেসে ওঠে ‘জয় বাংলা, আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে’ লেখা। এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
|আরো খবর
ঘটনার সূত্রপাত:
নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদের স্ক্রিনে এই অপ্রত্যাশিত বার্তা দেখতে পান। উত্তেজিত মুসল্লিরা সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ কমিটির সদস্যদের খুঁজতে শুরু করেন। মসজিদের ব্যবস্থাপক নূর নবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
ছাত্র আন্দোলনের পদক্ষেপ:
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। মসজিদ কমিটির কাউকে না পেয়ে তারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফেনী জেলা প্রশাসক বিষয়টি অবহিত হয়ে ফেনী সদর ইউএনও কান্তা এবং ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরাকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
ম্যানেজার আটক:
পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে মসজিদের ব্যবস্থাপক নূর নবীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, “মসজিদের স্ক্রিনে নামাজের সময়ের পরিবর্তে রাজনৈতিক বার্তা প্রদর্শিত হওয়ার বিষয়টি সত্য। এটি একটি চক্রান্তের অংশ হতে পারে। নূর নবীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
ছাত্রনেতাদের অভিযোগ:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ওমর ফারুক দাবি করেন, “ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি নিজাম হাজারী ও সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মিয়াজীর অনুসারীরা এসব কাজে জড়িত। তারা হাসিনা সরকারের পতনের পর ফেনীকে অশান্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে।”
জনমনে উত্তেজনা:
ঘটনার পর থেকে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকেই এই ঘটনাকে মসজিদে রাজনীতির অনুপ্রবেশ হিসেবে দেখছেন।
প্রশাসনের অবস্থান:
ফেনী জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। মসজিদের স্ক্রিনে বার্তাটি কিভাবে প্রদর্শিত হলো এবং এর পেছনে কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শেষ কথা:
মসজিদের মতো ধর্মীয় স্থানে এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও, এই ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচন এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।