বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শ্রীনগর কাঁপছে
  •   হাজীগঞ্জে সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
  •   অবক্ষয়ের কারণে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে চলছে
  •   মুন্সিগঞ্জে মানবতার স্পর্শ
  •   স্বপ্নের বই হাতে পেয়ে আনন্দে ফেটে পড়ল চাঁদপুরের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৮

সরকারি গাছ কেটে বেকায়দায় লোকমান

অনলাইন ডেস্ক
সরকারি গাছ কেটে বেকায়দায় লোকমান

চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে গ্রামীণ পাকা সড়কের পাশের একটি মূল্যবান রেইনট্রি গাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে কেটে বেকায়দায় পড়েছেন লোকমান খান নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। কাটার সময় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ গিয়ে তাকে গাছ না কাটার জন্যে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি তাদের কথায় কর্ণপাত না করে গাছ কেটেই ক্রেতাকে দিতে পারছেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জানার পর ওই গাছ ইউনিয়ন পরিষদে দিয়ে আসার জন্যে এবং আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৪) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের মাজার সড়কের কুমারডুগি গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির ওই নেতা ৫জন শ্রমিক এবং বহিরাগত আরো বেশ কয়েকজন নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি এই গাছ কাটেন। এরপর গাছের অধিকাংশ ডালপালা তার বাড়িতে নিয়ে গেলেও গাছের গুঁড়ির বড়ো বড়ো অংশ ঘটনাস্থলে রেখেছিলেন।

বিকেলে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়েও গাছ কাটার সত্যতা মেলে। এই সময় ঘটনাস্থলে আসেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল মিজি। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে গাছ কাটা হয়েছে। কার সাথে অনুমতি নিয়ে গাছ কাটবে?’

স্থানীয় ব্যবসায়ী সুমন খান বলেন, ‘পাশের খান বাড়ির শহীদ খানের ছেলে লোকমান খান শ্রমিক এনে এই গাছ কাটেন'। তিনি দাবি করেন, এটি তার নিজের গাছ। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এর আগেও রাজনৈতিক পরিচয়ে ইউনিয়নের একাধিক সড়ক থেকে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি বেশ কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে।

গ্রাম পুলিশ বাশার ও আলী হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমাদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। আমরা লোকমান খানকে গাছ না কাটার জন্যে নিষেধ করলেও তিনি আমাদের কথায কর্ণপাত করেননি। গাছ কাটার সময়ের ছবি ও ভিডিও করে আমরা চলে এসেছি এবং ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার জন্যে বলেছি। তিনি আমাদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেছেন।’

এই বিষয়ে লোকমান খান এলোমেলো কথা বলেন। তিনি একবার বলেন, ‘গাছ মসজিদের,’ আবার বলেন, ‘এটি মাদরাসার কাজের জন্য কেটেছি।’ কিছু সময় পরে বলেন, ‘এটি আমার নিজের গাছ।’ স্থানীয় সরকার বিভাগের সড়কের এই গাছ কাটার জন্যে অনুমতি লাগে--এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনুমতি নেইনি। তবে পরিষদে যাওয়ার জন্যে বলেছে।’ তিনি গাছটি বিক্রি করে দিয়েছেন, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি আবারও এলোমেলো কথা বলতে শুরু করেন।

শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কুদ্দুছ আখন্দ রোকন বলেন, ‘সকালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ গাছ কাটার বিষয়টি আমাকে জানান। আমি তাৎক্ষণিকভাবে দুইজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ না কাটার জন্যে বলেছে। এরপর বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি কাটা গাছ এনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছেন।’

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়টি বিকেলে আমাকে ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অনুমতি না নিয়ে ওই ব্যক্তি গাছ কেটেছেন। এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বলেছি।’ সূত্র : ঢাকা মেইল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়