মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৮

পৌনে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনঃসংস্কার হতে যাচ্ছে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক

দীর্ঘ ভোগান্তির পর অবশেষে

কবির হোসেন মিজি
দীর্ঘ ভোগান্তির পর অবশেষে
ছবি : চাঁদপুর কন্ঠ

অবশেষে দীর্ঘ ভোগান্তির পর ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন করে পুনঃসংস্কার হতে যাচ্ছে চাঁদপুর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক, সাবেক বঙ্গবন্ধু সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় থাকা এ সড়কের দুর্দশা দূর করতে অবশেষে বড়ো অঙ্কের এই বরাদ্দ এসেছে।

পৌরসভা জানিয়েছে, এই কাজ বাস্তবায়ন হলে শুধু এ সড়কই নয়, গোটা শহরের যানজট নিরসনে আসবে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন।

জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার নতুন আরইউটিডিপি প্রকল্পের আওতায় শহরের জন্যে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার এস্টিমেট অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে এবং সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে প্রায় এক বছর।

মূল সড়কের দু পাশে ৪ মিটার করে সম্প্রসারণের মাধ্যমে মোট প্রস্থ হবে প্রায় ১৬ ফুট।

প্রথমেই করা হবে ড্রেনের কাজসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ, যাতে বর্ষায় সড়কে পানি না জমে।

এরপর হবে পূর্ণাঙ্গ কার্পেটিং ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

সরজমিনে দেখা গেছে, এই সড়ক শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে গেছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যানবাহন শহরে প্রবেশ ও প্রস্থান করে এই রাস্তায়। বিশেষ করে হাসপাতাল, স্টেডিয়াম রোড ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরে সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম।

কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এখানে গর্ত আর ভাঙা অংশ বেড়েই চলেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে, প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।

কয়েক বছর ধরে সড়কের অবস্থা ভয়াবহ হয়ে ওঠে। প্যাচওয়ার্ক বা ইট-বালু ফেলে সাময়িক সমাধান দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা টেকে না।

বৃষ্টি হলেই ধসে পড়ে, তৈরি হয় নতুন গর্ত।

দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন পথচারী ও যাত্রী, সন্ধ্যার পর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সড়কের প্রস্থ মাত্র ১২ ফুট। যানবাহন ও জনসংখ্যার তুলনায় এটি অপ্রতুল।

এ কারণে বড়ো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু সড়কের জন্যে ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার অনুমোদন পাওয়া গেছে।

টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন, কাজ শুরু হবে শীঘ্রই।

শহরবাসীর প্রত্যাশা, টেকসই কাজ হলে পুরো জেলা উপকৃত হবে।

রাস্তায় গর্তের কারণে গাড়ি ও পণ্যে ক্ষতি হয়।

ভালো কাজ হলে এই রাস্তা শহরের চেহারাই বদলে দেবে।

এখন শুধু প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষা। সবাই চান, বরাদ্দ যেন কাগজে-কলমে না থেকে বাস্তবায়িত হোক দ্রুত।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়