প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর পৌর কর্মচারী সংসদের জন্যে শুভ কামনা
চাঁদপুর শহরে তথা জেলা সদরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে কর্মরত কর্মচারীদের সাংগঠনিক কমিটি গঠনের জন্যে যে নির্বাচন সকলের নজর কাড়ে, সেটি হচ্ছে চাঁদপুর পৌর কর্মচারী সংসদের নির্বাচন। চাঁদপুর পৌরসভায় কর্মরত কর্মচারীরা প্রতি দু বছর পর এ নির্বাচনে অংশ নেন। নিয়ম মোতাবেক এ বছর সেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১৯ সদস্যবিশিষ্ট চাঁদপুর পৌর কর্মচারী সংসদের কার্যকরী কমিটি গঠনে এ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়। এ পৌরসভার ২১৭ জন নিয়মিত কর্মচারী এ নির্বাচনের ভোটার। কিন্তু এবার তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হয়নি। কারণ, প্রার্থীরা সকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
|আরো খবর
গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, চলতি ২০২১ সালের নির্বাচনে সংগঠনের সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত তারিখে একটিমাত্র প্যানেল জমা পড়ে। এ প্যানেলের নাম মফিজ-মানিক-বাতেন। গত ১৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে চাঁদপুর পৌর ভবনের সম্মেলন কক্ষে পৌর কর্মচারী সংসদ নির্বাচন ২০২১-এর গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ সোহেল রানা উক্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীর সামনে মফিজ-মানিক-বাতেন পরিষদের সকলকে অর্থাৎ ১৯জনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
চাঁদপুর পৌর কর্মচারী সংসদের সাবেক গঠনতন্ত্র মোতাবেক আগে সভাপতি পদে কোনো নির্বাচন হতো না। কার্যকরী সভাপতি পদ সহ অন্যান্য পদে নির্বাচন হতো। সভাপতি পদে চেয়ারম্যান/মেয়রের প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ সমর্থনে শহরের সুধী সমাজ থেকে গ্রহণযোগ্য এক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হতো, যিনি মূলত পৌর কর্মচারীদের স্বার্থের অনুকূলে তথা স্বার্থরক্ষায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এবার গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে সভাপতি পদে মনোনয়ন প্রথা এবং কার্যকরী সভাপতি পদটি বাদ দেয়া হয়েছে। সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি পদসহ বাকি ১৮টি পদে এবার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেমতে চাঁদপুর পৌরসভার কর্মচারীরা একাধিক প্যানেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন। কিন্তু কমিটির নূতন আঙ্গিককে সম্ভবত সুখপ্রদ সূচনায় রাঙিয়ে দিতে সেটা তারা করেন নি।
প্রায় সোয়াশ’ বছরের পুরানো চাঁদপুর পৌরসভার কর্মচারী সংসদের সাম্প্রতিক বছরের অর্জন হচ্ছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশ পথের বিপরীতে নিজস্ব ২৭০০ বর্গফুট জায়গায় সুদৃশ্য কর্মচারী সংসদ প্লাজা নির্মাণ। ইতোমধ্যে ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে উক্ত প্লাজা তথা ভবনের তিন তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এজন্যে পৌর তহবিল থেকে তাদের কোনো অনুদান চাইতে হয়নি। দোতলার মালিকানা বিক্রি করে প্রায় ১কোটি টাকা এবং নিচতলার দোকান সমূহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে অগ্রিম নিয়ে ভাড়া দিয়ে তারা এই ভবন নির্মাণের ব্যয় সংস্থান করতে পেরেছেন। এটা ২০১২ থেকে উক্ত সংসদে যারা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতার পরিচায়ক বলে আমাদের অভিমত। আমরা চাঁদপুর পৌর কর্মচারী সংসদের জন্যে সর্বাত্মক শুভ কামনা করছি।