প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে গতি পাবে সাহিত্য একাডেমী
১৯৮৬ সালে চাঁদপুর শহরের জে.এম. সেনগুপ্ত রোডস্থ জোড় পুকুর পাড়ে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুর ৩৫ বছরের পুরানো একটি সংগঠন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে দেশে করোনাকাল শুরু হলে যে সকল গতিশীল প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন স্থবিরতায় আক্রান্ত হয়েছিল, সাহিত্য একাডেমী তার অনতম। প্রতি মাসের শেষ বুধবার সাহিত্য আসর বা আড্ডা বসার মধ্য দিয়ে এই একাডেমী তার কার্যক্রমে যে গতিশীলতা পেয়েছিলো সেটা ব্যাহত করে করোনাকালে চলমান লকডাউনজনিত অবরুদ্ধতা। এছাড়া একাডেমীর ব্যানারে দুদিনব্যাপী সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন, বার্ষিক প্রকাশনা প্রকাশের উদ্যোগসহ আরো নানা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এর মধ্যেও ২০২১ সালের ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুজিববর্ষ এবং চলমান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নেয় একাডেমীর সাথে সংশ্লিষ্টরা। অবশেষে দেড় শতাধিক পৃষ্ঠার স্মারক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় গত আগস্ট ২০২১ মাসে। কিন্তু করোনার ব্যাপকতায় প্রকাশনা উৎসব বা পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠান করা যাচ্ছিলো না। দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছিলো না একাডেমীর নির্বাহী কমিটির সভাও।
|আরো খবর
অবশেষে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলো নির্বাহী কমিটির সভা এবং ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হলো মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত সাহিত্য একাডেমীর স্মারক গ্রন্থ ‘সুবর্ণ-শতকে’র পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠান। নির্বাহী কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক ও একাডেমীর সভাপতি অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুরকে গতিশীল করতে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমি আশা করি, সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুর জেলার সাহিত্য এবং সাহিত্যিকদের উন্নয়নে এখন থেকে আরো বেশি ভূমিকা রাখবে। তিনি ‘সুবর্ণ-শতক’ গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে গিয়েও অনুরূপ আশ^াস দিয়েছেন এবং এ গ্রন্থ প্রকাশকে একটি মাইল ফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সরকারের সাবেক সচিব, প্রখ্যাত ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন এ গ্রন্থটিকে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সারাদেশ থেকে প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে সেরা দশের অন্যতম বলে আখ্যায়িত করেছেন।
জেলা প্রশাসকের আন্তরিক আশ্বাসে সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুর-এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে উজ্জীবিত। তাঁরা সহ চাঁদপুরের সাহিত্যপ্রেমী সুধীজন মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে সাহিত্য একাডেমী গতিশীলতা অর্জন করবে। সুফলস্বরূপ সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের উন্নয়নে অনেক কাজ করা সম্ভব হবে। আমরাও অনুরূপ অভিমত ব্যক্ত করি।