শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০০:৫৭

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে চাঁদপুর শহর জামায়াতের দোয়ানুষ্ঠান

দেশের মানুষ আর কোনো জুলুম, দুর্নীতি, স্বৈরতন্ত্র সহ্য করবে না -----অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া

অনলাইন ডেস্ক
দেশের মানুষ আর কোনো জুলুম, দুর্নীতি, স্বৈরতন্ত্র সহ্য করবে না  -----অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে চাঁদপুর শহর জামায়াতের দোয়ানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আন্দোলনে নিহত হওয়া সকল শহীদ ও আহতের স্মরণে চাঁদপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে দোয়া এবং এতিম ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই ২০২৫) বাদ যোহর শহরের বড় স্টেশন রেলওয়ে মাদানী দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক, ছাত্রদের নিয়ে এই আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শহর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শেখ মো. বেলায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকের এই দোয়া মাহফিলে আমি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করছি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া সেই ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের কথা।

গণআন্দোলনে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ও আহতদের সুস্থতার সাথে আল্লাহর কাছে নেক হায়াত কামনা করছি। শহীদদের আত্মত্যাগ আমরা কখনোই ভুলবো না।

এই আন্দোলন শুধু কোনো রাজনৈতিক দল বা একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির ছিল না, বরং এটি ছিল পুরো জাতির জাগরণের প্রতীক। আন্দোলনের হৃদয়ে ছিল তৌহিদি জনতা, যারা বুক পেতে দিয়েছিলেন স্বৈরাচারী সরকারের বন্দুকের সামনে। তারা কোনো হিংসা বা ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে রাস্তায় নামেননি। তারা নেমেছিলেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যে, একটি নিরপেক্ষ ও ইসলামিক মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন নিয়ে।

আমরা সবাই দেখেছি, কীভাবে নিরস্ত্র ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু তারা দমে যায়নি। আমাদের প্রাণপ্রিয় ছাত্র-জনতা অনেকেই শাহাদাতবরণ করেছেন, কেউ কারাবরণ করেছেন—তবুও পিছু হটেননি। কারণ তারা জানতেন, "জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই হলো ঈমানের দাবি।"

সেই আন্দোলনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে — এই দেশের মানুষ আর কোনো জুলুম, দুর্নীতি, স্বৈরতন্ত্র সহ্য করবে না। আল্লাহর ভয় এবং দ্বীনি চেতনা নিয়ে সজ্জিত তৌহিদি জনতা এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হওয়া সকল শহীদের স্মরণে শহরে দুই দফা দোয়া মোনাজাত করা হয়।

বড় স্টেশন রেলওয়ে জামে মসজিদে দোয়া মোনাজাতে সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার সাথে দীর্ঘায়ু কামনা করে মহান আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করা হয়। প্রথম দফায় দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বড় স্টেশন রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি সিরাজুল ইসলাম। পরে রেলওয়ে মাদানী দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কোরআনে হাফেজদের নিয়ে শহীদ ও আহতদের পরিবার সহ দেশবাসীর জন্যে দোয়া করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. আব্দুল হাই লাভলু সহ মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়