রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

সব টুর্নামেন্ট যদি এভাবে শেষ হতো!

সব টুর্নামেন্ট যদি এভাবে শেষ হতো!
অনলাইন ডেস্ক

আমাদের চাঁদপুর জেলা সদরে সুন্দর স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়াম রয়েছে। এতো সুন্দর স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়াম সব জেলায় নেই। খেলার এমন সুন্দর জায়গা থাকলে কী হবে, স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে আয় করার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকলে কী হবে, বিপুল পরিমাণ স্থায়ী আমানত থাকলে কী হবে, সারাবছরব্যাপী খেলাধুলার সুন্দর ব্যবস্থা কিন্তু নেই। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত কমিটি দৃশ্যমান কিছু করতে পারলেও বার্ষিক ক্রীড়াসূচি তৈরি করে গণমাধ্যমে সেটি প্রকাশ করে সেমতে খেলাধুলায় স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়ামকে সারাবছর ব্যস্ত রাখার পারঙ্গমতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখাতে পারেনি। এজন্যে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলোয়াড় সহ অন্য খেলোয়াড়দের অসন্তোষের অন্ত নেই। তবে যে টুর্নামেন্টের খেলাগুলো যথাসময়ে শুরু করে যথাসময়ে শেষ করলে ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের কারো কারো গদি নড়বে না, সেগুলো ঠিকমতই হচ্ছে। এজন্যে কেউ যদি ধন্যবাদ না জানান, তাহলে তার বদান্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারাটাই স্বাভাবিক।

অতি সম্প্রতি চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল ও আন্তঃউপজেলা প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবার পর বারবার বৃষ্টিবিঘ্নিত হলেও সেটি বন্ধ না করে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শেষ করা হয়েছে এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। কাছাকাছি সময়ে জেলা ক্রীড়া অফিস বৃষ্টির উপর্যুপরি উপদ্রব সত্ত্বেও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় যথাসময়ে সম্পন্ন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৭ গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের জেলা পর্যায়ের সকল খেলা। তারা স্থানীয় এমপি ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির মাধ্যমে পুরস্কারও বিতরণ করেছে। তার আগে জেলা ক্রীড়া সংস্থা জেলা পর্যায়ে কাবাডি টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করা ও পুরস্কার বিতরণ করার কাজটিও সম্পন্ন করেছে। গত বছর চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ভালোভাবে সম্পন্ন হয় বিসিবি কাউন্সিলর কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এক্ষেত্রে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতা ছিলো অনস্বীকার্য এবং বিসিবি কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমানের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও স্থানীয় ক্রিকেট সংগঠক সহ খেলোয়াড়দের সহযোগিতা ছিলো উল্লেখযোগ্য।

চাঁদপুর জেলায় কিছু ক্রিকেট ও ফুটবল একাডেমির মাধ্যমে কিছু ভালো খেলোয়াড় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তৈরি হলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়। অতীতে মহকুমা/জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে নিয়মিত পরিচালিত লীগ/টুর্নামেন্টের মাধ্যমে এবং আবাসিক/অনাবাসিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শুধু ফুটবলার বা ক্রিকেটার নয়, যেভাবে জাতীয় মানের বিভিন্ন খেলোয়াড় চাঁদপুর থেকে বেরিয়ে এসেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেভাবে বেরিয়ে আসছে না। আবার কষ্টেসৃষ্টে ২-১টি টুর্নামেন্ট শুরু হলেও নানা কারণে সেটি শেষ না করার অভিযোগ রয়েছে ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছে, কিংবা কেউ তাদের জোরালো তাগিদ দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। সেজন্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে চাঁদপুর সোনালী অতীতেই আবর্তিত হচ্ছে, সোনালী বর্তমানে নয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক ও উদ্বেগজনক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়