প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের রাস্তাগুলো মেরামতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চাই

দেশের অন্য অনেক শহরের ন্যায় অতি বৃষ্টিতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে চাঁদপুর শহরের রাস্তাসমূহ। এসব রাস্তা নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে বলা যায় প্রতিদিনই সংবাদ প্রকাশিত হয়ে চলছে। গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত সচিত্র প্রতিবেদনে লিখা হয়েছে, চলতি বর্ষায় অতিবৃষ্টির কারণে প্রাচীন চাঁদপুর পৌরসভার অনেক রাস্তাই এখন ক্ষতবিক্ষত। প্রতিদিন পৌরসভার রাস্তাগুলো দিয়ে হাজার হাজার সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক, রিকশা, ট্রাক, পিকআপসহ অন্য সকল যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু এবার বর্ষায় পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় এসব রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে মানুষের খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সবচেয়ে বেহাল দশা নতুনবাজার এলাকার নিউ ট্রাক রোড, রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের সম্মুখস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, কালী বাড়ির সামনের রাস্তা, পালবাজার সংলগ্ন ব্রীজ চত্বর, লঞ্চঘাটের দুদিকের রাস্তা, আঃ করিম পাটওয়ারী সড়ক, হাসান আলী স্কুল, স্বর্ণ মার্কেট, চিত্রলেখা, বিপণীবাগ, পুরাণবাজার রয়েজ রোড, আমজাদ আলী সড়ক, নিতাইগঞ্জ, মাছবাজারসহ অনেক এলাকার রাস্তার এখন খুবই শোচনীয় অবস্থা। প্রতিবছরই পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তা সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংস্কারের কয়েক মাস যেতে না যেতেই রাস্তাগুলো পুরানো রূপ ফিরে পায়। পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ বলছে, প্রায় ৮০ কিলোমিটার পাকা সড়কের প্রায় ৩২ কিলোমিটার রাস্তা ভাঙ্গাচুরা। প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তবে এর মধ্যে কিছু অংশে হালকা মেরামত কাজ করা হচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলে কংক্রিট, পাথর, বিটুমিনের কাজ করা হবে।
|আরো খবর
অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পূর্ব থেকেই চাঁদপুর পৌরসভার রাস্তাগুলোর জীর্ণদশা কম-বেশি দৃশ্যমান হচ্ছিল। বর্তমানে বৃষ্টির প্রাবল্যে সেই দৃশ্যমানতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কিছু সড়কের ক্ষতবিক্ষত বিকৃতরূপে আঁতকে ওঠার উপক্রম হয়।
জেলা সদরস্থ চাঁদপুর শহরের রাস্তাসমূহের জরুরি মেরামতে পৌরসভার কোনো অর্থ সঙ্কট নেই--এটা যৌক্তিক কারণে হলফ করে বলার সুযোগ নেই। আমরা চাঁদপুর পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর মেরামতে যে পরিমাণ অর্থসংস্থান প্রয়োজন, সে আলোকে অতি প্রয়োজনীয় বরাদ্দ জরুরিভাবে প্রদানের জন্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। এ বরাদ্দ প্রাপ্তির পূর্বে রাস্তাগুলো জোড়াতালি দিয়ে হলেও চলাচল বা ব্যবহার উপযোগী রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষের সর্বাত্মক প্রয়াস চালানো বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপির আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।