সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩১

সকালে ক্লাস করি, বিকেলে মাস্ক বিক্রি করি!

রাসেল হাসান
সকালে ক্লাস করি, বিকেলে মাস্ক বিক্রি করি!

'মাস্ক লন, ৫ পিচ ১০ টাকা..' একটি কচি কণ্ঠ থেকে ভেসে আসছিলো কথাটি। যে ছেলেটি মাস্ক বিক্রি করছে তার পড়নে একটি স্কুলের ইউনিফর্ম। স্কুল শার্টের উপরের কয়েকটি বোতাম খোলা। গরমে অস্থির ছেলেটির কাছে গিয়ে জানা গেলো মাত্রই ক্লাস করে ফিরেছে স্কুল থেকে। বিশ্রাম না নিয়ে শুরু করেছে যথারীতি মাস্ক বিক্রি। ছেলেটির নাম রবিউল হোসেন রবিন। ঢাকা গুলশান ভাটারা থানার ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সে।

মহামারি করোনায় শিক্ষা জীবন কেড়ে নিয়েছে অনেকের। পরিবারের দারিদ্রতা ঘোচাতে শিক্ষা ছেড়ে যোগ দিয়েছে কর্মস্থলে, বাংলাদেশে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। তার মধ্যে ব্যতিক্রম এই রবিউল ইসলাম রবিন। করোনায় যখন বন্ধ ছিলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তখন রবিন রাস্তার পাশে মাস্ক বিক্রি করতো। দিন শেষে যে কয় টাকা লাভ হতো তা তুলে দিতো মায়ের হাতে। সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার পর রবিন যথারীতি ফিরেছে স্কুলে তবে অভাবের কারনে ছাড়েনি মাস্ক বিক্রিও।

রবিনের মা পাশের একটি ওভার ব্রীজের নিচে চা বিক্রি করেন। বাবা কি করেন তা জানে না রবিন। 'মাস্ক বিক্রির টাকা দিয়ে কি করে রবিন' জানতে চাইলে বলে, খাতা-কলম কিনি, মায়েরে দেই। মায় বাজার করে ছোট বইনে সহ খাই।

স্কুল আর মাস্ক বিক্রি দু'টো এক সাথে চালালে সমস্যা হয় কি-না প্রশ্ন করলে রবিন বলে, না। সকালে ক্লাস করি, বিকালে মাস্ক বেঁচি। যেদিন স্কুল নাই সেদিন সারাদিনই মাস্ক বেঁচি। শরীর খারাপ লাগলে মা'র কাছে গিয়া ওভার ব্রীজের নিচে ঘুমাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়