প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪১
ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার গোপন বৈঠক: বাংলাদেশে প্রযুক্তির নতুন সম্ভাবনা?
সিলিকন ভ্যালি থেকে সোজা ঢাকা
![সিলিকন ভ্যালি থেকে সোজা ঢাকা](/assets/news_photos/2025/02/14/image-58914-1739475917bdjournal.jpg)
প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিশ্বখ্যাত ধনকুবের, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।(ছবি :সংগৃহীত)
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিশ্বখ্যাত ধনকুবের, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
আলোচনার মূল বিষয় কী ছিল?
সূত্র জানাচ্ছে, এই বৈঠকে বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে সম্ভাব্য বিনিয়োগ, স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণ এবং নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে মাস্কের স্টারলিংক প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অবশেষে কি বাংলাদেশে আসছে টেসলা?
অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল যে, বাংলাদেশে ইলেকট্রিক যানবাহন শিল্পে প্রবেশ করতে চায় টেসলা। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, বৈঠকের পর অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "নতুন সম্পর্ক, নতুন সম্ভাবনা। সামনে বাংলাদেশে বড় কিছু আসছে।"
কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ
ইলন মাস্ক শুধু একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা নন, বরং তিনি মার্কিন প্রশাসনের নীতিনির্ধারণেও বড় ধরনের প্রভাব রাখেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এবং বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। তাই এই বৈঠক শুধু প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রেই নয়, কূটনৈতিকভাবেও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সরকারি প্রতিক্রিয়া কী?
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "আলোচনার বিস্তারিত যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। তবে এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছিল।"
অন্যদিকে, সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইলন মাস্কের সঙ্গে এই যোগাযোগ মূলত বাংলাদেশে টেকনোলজি-বেজড ইকোনমি গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
সামনে কী হতে পারে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে এমন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক দেশের অর্থনীতি ও প্রযুক্তির উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মাস্কের কোম্পানিগুলো যদি বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে, তাহলে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে দেশ এক নতুন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।
বৈঠকের আলোচনার চূড়ান্ত ফলাফল জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। তবে এই বৈঠক ইতিমধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ
আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন! বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন