শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৪৭

চাঁদপুর রেলওয়ে লেকে বহুল আলোচিত ঘটনা

আল আমিন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার।।
আল আমিন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেফতার

চাঁদপুর শহরের লেকেরপাড়ে বহুল আলোচিত কিশোর আল আমিন হত্যাকাণ্ডের মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি তোরাব হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার তাকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ আটক করে। শুক্রবার (২২ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে হত্যা মামলার আসামি তোরাবকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কালীবাড়ি এলাকা থেকে আল আমিনের বন্ধু তোরাবুর রহমানকে আটক করা হয়। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিলো।

গত ১২ জুলাই ২০২৫ (শনিবার) রাতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের লেকের পাড়ে বন্ধুদের হামলায় গুরুতর আহত হয় আল আমিন। তাকে অর্ধমৃত অবস্থায় লেকের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সেই বন্ধুরাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে, কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আল আমিনের বয়স ১৭ বছর। সে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন নিবাসী এবং শহরের মমিন পাড়া এলাকার বাসিন্দা রমজান আলীর ছেলে ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর বিল্লাল মাঝির নাতি।

জানা যায়, তার বন্ধু তোরাবুর হোসেন ঘটনার দিন আলআমিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় কয়েকজন মিলে লেকের পাশে আড্ডা দিতে বসে। তখনই শুরু হয় মারধর, এরপর ফেলা হয় পানিতে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলের বন্ধুরা আল আমিন কে লেকের পানি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং কর্মরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় নিহত আল আমিনের বাবা বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় কয়েকজন আটক হয়। কিন্তু তোরাবুর রহমান ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলো।

অবশেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই নুরুল আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী তোরাবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আল আমিনের পরিবার অভিযোগ করেছে, হত্যার পর নাটক সাজাতে কিশোর গ্যাং সদস্যরা নিজেরাই হাসপাতালে নিয়ে যায় আল আমিনকে। আগের দিনও একই গ্যাং হাজী মহসীন রোডে সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিলো। নিহতের শরীরে জখমের চিহ্ন, চোখের পাশে রক্তাক্ত ক্ষত, হাতে আঘাতের দাগ ছিলো । পরিবারের দাবি—এই নৃশংস হত্যার বিচার দ্রুত হওয়া উচিত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়