সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৬

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লব : চীন-তুর্কি-ভারত

মো. জাকির হোসেন
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লব : চীন-তুর্কি-ভারত

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে চলেছে। চীন ও তুরস্ক এ দেশে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর ফলে দেশের সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন, যা বাংলাদেশি রোগীদের ভারতে চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমিয়ে দেবে।

ভারতের পত্রিকাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে ভারতে বাংলাদেশি রোগী যাওয়া প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার হাসপাতালগুলো, যেগুলো বাংলাদেশি রোগীর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল, এখন বড় ধাক্কার মুখে পড়েছে। কলকাতার হাসপাতালগুলোর আয় কমে গেছে, এবং কিছু হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যান, এবং এতে বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং চীনের আগ্রহের কারণে এই সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

সম্প্রতি ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। চীন পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে এবং কুনমিংয়ে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছে।

তুরস্কও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। উভয় দেশই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ এবং থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের আদলে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশি রোগীদের ভারতে চিকিৎসা নেওয়ার ওপর কিছু ভারতীয় হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের নিষেধাজ্ঞা, যেমন ২০২২ সালের চিন্ময় দাস ইস্যুতে ঘটে, এখন ভারতকেই বিপাকে ফেলেছে। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক নাগরিক মোদী সরকারের এই কৌশলের সমালোচনা করছেন।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন ও তুরস্কের বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের জনগণ স্বল্প ব্যয়ে উন্নত চিকিৎসা পাবেন। এই উদ্যোগ শুধু দেশের মানুষের চিকিৎসার ব্যয় কমাবে না, বরং দেশের মাটিতেই আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন ও তুরস্কের বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হলে ভারতের স্বাস্থ্য পর্যটনের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।

স্বাস্থ্য খাতে চীন ও তুরস্কের বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এটি শুধু রোগীদের জন্য নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্যও একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়