সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:১৯

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও টিআইবি চাঁদপুরের আয়োজনআন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবসে মানববন্ধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও টিআইবি চাঁদপুরের আয়োজনআন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবসে  মানববন্ধন
টিআইবি ও সনাকের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন সনাক সভাপতি মো. আলমগীর পাটওয়ারী।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও টিআইবি চাঁদপুরের আয়োজনে ‘জীবাশ্ম জ্বালানিকে না বলুন’ এই প্রতিপাদ্যের ওপর আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রভাবমুক্ত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির নতুন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে রোববার (২৬ জানুয়ারি ২০২৫) 'অঙ্গীকার' পাদদেশে সনাক-টিআইবি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে সনাক সভাপতি আলমগীর পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির রূপান্তর সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যে সনাক-টিআইবি এই প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস। সনাক-টিআইবি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের দ্রুত ও অধিকতর কার্যকর বিকাশের উপযোগী সুশাসন নিশ্চিতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি সম্পর্কেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব এবং জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়ার জন্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

সনাকের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির অধিক ব্যবহার ও নির্ভরশীলতার কারণে আমাদের টেকসই উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। আমাদেরকে ক্লিন এনার্জি গ্রহণ ও ব্যবহার বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে আমাদের এই তরুণ সমাজ।

সনাকের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, আমাদের প্রকৃতি থেকে ক্লিন এনার্জি আহরণ করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে তা ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

দিবসের ওপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইয়েস সদস্য মো. আব্দুর রহিম রাজু। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর রোটার‌্যাক্ট ক্লাবের সভাপতি কাজী আজিজুল হাকিম নাহিন, চাঁদপুর রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব প্রধান মো. নজরুল ইসলাম বাবু, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ, চাঁদপুরের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম জুহানী ও ইয়েস গ্রুপের সহ-দলনেতা জুবায়ের আহমেদ সিয়াম। এছাড়াও সনাক সদস্য মো. হাবিবুর রহমান পাটওয়ারী, টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদ রানাসহ ইয়েস গ্রুপ, চাঁদপুর রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব চাঁদপুর এবং ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ, চাঁদপুরের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিতসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানির রূপান্তরে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে টিআইবি সংশ্লিষ্ট অংশীজনের বিবেচনার জন্যে বেশ কিছু সুপারিশসমূহ প্রস্তাব করেছে-- জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর বিদ্যমান জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ‘ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি-২০২৩)’ অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস এবং জ্বালানি মিশ্রণে নবানয়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বৃদ্ধি-এমন মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি ও কার্যকর করতে হবে; জ্বালানি খাতে নীতি করায়ত্ত বন্ধ এবং স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ায় জাবাবদিহি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে; পরিবেশ আইনের আওতায় বিধিবদ্ধ করে সকল প্রকার জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যে ত্রুটিমুক্ত পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও যাচাই নিশ্চিত করতে হবে এবং পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান এবং দূষণ ও পরিবেশ-বিষয়ক তদারকিতে স্বচ্ছ ও যথাযথ-প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে; নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর-সংক্রান্ত কার্যক্রমে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)কে একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রদানসহ এর কারিগরি, জনবল এবং অবকাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিসহ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)-এর আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। জ্বালানির দাম নির্ধারণসহ প্রতিষ্ঠানটির ম্যান্ডেট অনুসারে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা প্রদান করতে হবে; আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত জ্বালানি খাতের সকল প্রকল্প প্রস্তাব এবং চুক্তির নথি প্রকাশ করতে হবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ক্রয় সম্পাদনে উন্মুক্ত-পদ্ধতি ব্যবহারসহ জাতীয় ক্রয় আইন ও নীতি পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন করতে হবে। এ খাতের সকল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রয় সম্পাদনে ই-জিপি পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে; পরিবেশ সংবেদনশীল এলাকায় নির্মীয়মাণ কয়লা ও এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো স্থগিত করে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ কৌশলগত, সামাজিক ও পরিবেশগত সমীক্ষা সম্পাদন সাপেক্ষে অগ্রসর হতে হবে; এনডিসির অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে বাতিল হওয়া কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যে অধিগ্রহণকৃত জমিতে সোলারসহ নাবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে; স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রকল্পের পরিকল্পনা, চুক্তির শর্ত নির্ধারণ, অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে; নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নের জন্যে তহবিল বরাদ্দ এবং গবেষণা ও শিল্পখাতের মধ্যে সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তরুণ সমাজের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়