প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৪৫
বাংলাদেশ-ভারত সামরিক সম্পর্ক: ‘সম্পর্ক মসৃণ, তবে স্বাভাবিক হতে দরকার নির্বাচিত সরকার’
সামরিক বন্ধুত্ব, রাজনৈতিক দূরত্ব
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এক বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারত বাংলাদেশের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর উল্টোটাও সত্য। আমরা প্রতিবেশী হিসেবে একসঙ্গে থাকতে ও পরস্পরকে বুঝতে হবে। যে কোনো ধরনের বৈরিতা আমাদের উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হবে।”
|আরো খবর
জেনারেল দ্বিবেদী আরও বলেন, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আগের মতোই শক্তিশালী এবং অব্যাহত রয়েছে। “আমাদের কর্মকর্তারা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) যথারীতি অংশ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে যৌথ সামরিক মহড়া বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তা অনুষ্ঠিত হবে।”
নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা:তবে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, দুই দেশের সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন বাংলাদেশে একটি ‘নির্বাচিত সরকার’ ক্ষমতায় আসবে। তার ভাষায়, “যদি দুই দেশের সম্পর্কের কথা বলেন, সেটা নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সম্ভব নয়। তবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক একদম ঠিক আছে, সব মসৃণভাবে চলছে।”
সীমান্ত পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক উত্তেজনা:গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বেড়েছে। বিশেষ করে, এই পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য দুই দেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া:বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেছেন, “ভারত আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। আমরা সবসময় কৌশলগত অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে সচেষ্ট।”
বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণবিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ইতিবাচক থাকলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দুই দেশের সামগ্রিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে। নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ